বিজ্ঞাপন দিন

"চার সন্তানের জননীর ইজ্জতের মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা"

রাজ (জলঢাকা) উপজেলা সংবাদদাতা : নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইনিয়নের মৌয়ামারী গ্রামের জাদু মিয়ার স্ত্রী চার সন্তানের জননীর ইজ্জতের মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে গ্রাম্য মাতব্বরসহ ইউপি মেম্বার চেয়ারম্যান।ওই জননীর ইজ্জতের মূল্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হলেও তার কপালে জুটেছে লাক্ষের নিচে টাকা। বাকি টাকা মাতব্বর,মেম্বার ও চেয়ারম্যান তারা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়ে অভিযুক্ত শাহিনুরকে তালাবদ্ধ ঘর থেকে মুক্তি দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঐ এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে জাদু মিয়ার স্ত্রী চার সন্তানের জননী জেসমিন বেগম (৩০) এর সাথে প্বার্শবর্তী গ্রামের আজিজার মাস্টারের পুত্র দুই সন্তানের জনক শাহিনুর রহমান (৪০) এর সাথে প্রায় দুই বছর থেকে পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক চলে।গত ০৬ মে আনুমানিক রাত ৯টায় জননী পরকিয়ার টানে কৌশলে নিজ বাড়িতে শাহিনুরকে ডেকে। ডাকে সাড়া দেয় শাহিনুর।এমন সময় জাদু মিয়া বাড়িতে এসে দেখতে পান স্ত্রীর অনৈতিক কর্মকান্ড।এ সময় শাহিনুর ঘর থেকে পালায়ন করে।ফেলে যাওয়া নিজের মোবাইল ও পায়ের সেন্ডেল নিতে আসলে শাহিনুরকে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ অবস্থায় আটকে রাখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় জননীর স্বামী। 

এ ভাবে প্রায় ১৫-১৬ ঘন্টা আটকে রাখে শাহিনুরকে।তার উপর বিভিন্নভাবে নির্যাতনও চালায়।খবর জানাজানি হলে গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।পরের দিন সোমবার গ্রাম্য মাতব্বররাসহ ৬ নং ইউপি সদস্য রুবেল ও চেয়ারম্যানের যোগসূত্রে গ্রাম্য সালিশে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত শাহিনুরকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।কিন্তু লাক্ষের নিচে টাকা ভিকটিমকে দিয়ে বাকী টাকা তারা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিয়ে অভিযুক্ত শাহিনুরকে অভিযোগ থেকে মুক্তি দিয়েছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।নাম প্রকাশে অনিহায় শালিসে উপস্থিত অনেকে জানায়,জনসম্মূকে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে লিখিতো আপোষনামা করা হয়েছে।অভিযুক্ত শাহিনুর এ প্রতিবেদককে বলেন,আমি চক্রান্তের শিকার গত ইউপি নির্বাচনে আমি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে অল্পের জন্য হেরে গেছি।আমি এমন কাজ করতে পারি না।আমি তাদের স্বামী-স্ত্রী দু'জনের জগড়া মিটিয়ে দিতে এসে ছিলাম।কিন্তু দেখেন সবাই আমার প্রতি অন্যায় করেছে।গ্রাম্য মাতব্বর মুছা মামুদসহ ৬ নং ইউপি সদস্য রুবেল ও চেয়ারম্যান আমাকে হিংসাত্তুকভাবে ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফাইন করেছে।যার জন্যে সমাজে আমার মূখ দেখা কঠিন হয়ে দাড়াইছে।

তাই আমার আত্নহত্যা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।জাদু মিয়া ও তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে তাদের বাড়িতে গেলে দেখা যায়,স্বামী-স্ত্রী দু'জনে নাটকীয়তাভাবে অসুস্থতা ভান দেখিয়ে বলেন,এ বিষয়ে মেম্বার চেয়ারম্যান ভালো করে জানে। এ ব্যাপারে কৈমারী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার রুবেল হোসেনের মুঠো ফোনে ২০-৩০ বার কল দেওয়ার পরেও সে কলটি রিসিভ করেনি।কৈমারী ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবুর মোবাইলে লেনদেনের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন,ঘটনাটি হাত-পা ধরাধরি করে মীমাংশা করে দেওয়া হয়েছে। সমাজের সচেতন ব্যক্তির অনেকে বলেন,যদি গৃহবধু ধর্ষন হয়ে থাকে তাহলে তো এ ধরনের বিচার মেম্বার চেয়ারম্যানরা করতে পারবে না। আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ এই বিষয় গুলো আইনের তুলে দেওয়া।তবে না আমরা সুশীল সমাজ গঠন করতে পারবো।