বিজ্ঞাপন দিন

প্রফেসর গোলাম মোস্তফা এমপির একাল-সেকাল

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা, (নীলফামারী): তিনি বিশ্বাস করেন সৎভাবে কাজ করলে সাফল্য আসবেই। সাফল্য এমনি আসে না। সাফল্যের জন্য প্রয়োজন ধৈর্য, পরিশ্রম ও কর্মনিষ্ঠা। সততা মানুষকে অনন্য মর্যাদার অধিকারী করে। এ কথাগুলো যাঁকে নিয়ে বলা তিনি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি। দেশের উত্তর জনপদের নীলফামারী-৩ (জলঢাকা-কিশোরগঞ্জ আংশিক) আসনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। মহান জাতীয় সংসদে সদস্য পদে আসীন হতে তাঁকে পার হতে হয়েছে অনেক বন্ধুর পথ, চড়াই-উৎরাই। তাঁর সংগ্রামী চেতনার মূলে রয়েছেন বাঙালির অবিসংবাদিত মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ধারক-বাহক হয়ে শিক্ষাজীবনে তিনি ছাত্রলীগের পতাকাতলে ঠাঁই নিয়েছেন। মেধাবী এই মানুষটি ছাত্র জীবনে আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিয়ে নিজের চিন্তা-চেতনাকে শাণিত করেছেন প্রবল দেশাত্মবোধে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এবং উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে গোলাম মোস্তফা ছুটে গিয়েছেন প্রিয় মাতৃভূমিকে শত্রুমুক্ত করার অদম্য আকাক্সক্ষায় একাত্তরের রণাঙ্গনে। নাম লিখিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধার খাতায়। নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে জয়ের পর ফিরে এসেছেন শিক্ষাঙ্গনে। 

ধাপে ধাপে পার হয়েছেন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাস্তর। এরপর যুক্ত হয়েছেন পেশাজীবনে। কিন্তু যাঁর মেধা-মনন জুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক রাজনীতির বিচরণ- তিনি গভীরভাবে অনুভব করেছেন জনকল্যাণে রাজনীতিই হবে মহাসাধনার পথ। তাই ছাত্রলীগের পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন তৃণমূলের নেতা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা। বর্তমানে যিনি তাঁর নির্বাচিত এলাকার জনগণের কল্যাণে গভীর আন্তরিকতায় নিরলস নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করার মধ্য দিয়ে নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য মর্যাদার আসনে। শিক্ষা জীবনের আন্দোলন-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় জাতীয় রাজনীতির একজন পরীক্ষিত সৈনিক তিনি। এ সুবাদে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা পালন করছেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নকে তিনি লালন করেন মর্মমূলে। 

বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার নিরলস কর্মী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে তিনি জলঢাকায় দৃশ্যমান উন্নয়ন কাজে অবদান রেখে চলেছেন। গোলাম মোস্তফার জন্ম ১৯৫৫ সালের ৩১ জানুয়ারি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খচিমাদা গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে। তাঁর পিতা মরহুম আলহাজ গিয়াস উদ্দিন এবং মা মরহুমা শামসুন্নাহার। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপির স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা। তিনি জলঢাকার রাবেয়া চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক এবং আওয়ামী যুবলীগ নীলফামারী জেলা শাখার সহসভাপতি। আদর্শ এই দম্পতির দ্ইু ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার। বড় সন্তান নেয়ামতুল্লাহ ধ্রুব রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে শেষ করেছে । দ্বিতীয় পুত্র রহমতুল্লাহ অর্ঘ্য খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সলে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করেছেন। একমাত্র কন্যা মামদুহা সুলতান মৈত্রী উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজে অধ্যায়নরত গ্রহণ করছেন। 

গোলাম মোস্তফা খচিমাদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাজীবন শুরু করেন। মীরগঞ্জ হাট হাইস্কুল থেকে ১৯৭২ সালে এসএসসি এবং জলঢাকা কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এইচএসসি পাস করেন। এরপর রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে ১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে বিএ (অনার্স) এবং ১৯৭৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। গোলাম মোস্তফা হাই স্কুলে অধ্যয়নকালেই ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হন। তিনি ১৯৭০ সালে মীরগঞ্জ হাইস্কুলসহ জলঢাকা থানার পশ্চিমাঞ্চল ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি জলঢাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জনাব আবদুর রউফের পক্ষে কয়েকটি ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার রাজনীতির হাতেখড়ি হয় মূলত তাঁর পারিবারিক পরিবেশেই। তাঁর জেঠা মরহুম মো. শামসুদ্দিন (১৯০০-১৯৯০) তৎকালীন ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির একজন প্রথম সারির নেতা ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন মামলার আসামি হয়ে ধরা পড়েন এবং রাজশাহী কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন। পাকিস্তান সরকারের আমলেও রাজনৈতিক কারণে তিনি গ্রেফতার হন এবং দুই দফায় সাড়ে পাঁচ বছর রাজশাহী কারাগারে বন্দি থাকেন। 

মরহুম শামসুদ্দিনের কাছে দেশপ্রেমের দীক্ষা গ্রহণ করেন গোলাম মোস্তফা। তখন থেকেই রাজনীতি তাঁর ধ্যান-জ্ঞান-স্বপ্ন এবং বাস্তবতার নিত্যসঙ্গী হয়ে যায়। সেই চেতনার উজ্জ্বল দূষ্ঠান্ত হয়ে জনগণের কল্যাণে বর্তমান সংসদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করলেও কুচক্রী সেনা শাসক জেনারেল ইয়াহিয়া খান ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকে। বাঙালিকে দাবিয়ে রাখার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে সারা বাংলা প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (সোহরাওয়র্দিী উদ্যান) ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হলেন গোলাম মোস্তফা। তিনি ৬ নং সেক্টরে যোগ দেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি ভারতের জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ক্যাম্পে যান প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্য। প্রশিক্ষণ শেষে তিনি আঞ্চলিক কমান্ডার মো. আনছারুল আলম ছানু’র নেতৃত্বে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে বিজয়ীর বেশে গোলাম মোস্তফা ঘরে ফিরে আসেন। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার পিতা আলহাজ গিয়াস উদ্দিন ছিলেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। তিনিও রাজনীতিমনস্ক ছিলেন এবং আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলটির সমর্থক হিসেবে নির্মোহ কাজ করে গেছেন। তিনি স্বাধীনতাযুদ্ধকালে এলাকার তরুণ-যুবকদের উদ্বুদ্ধ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের নানাভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেন। ১৯৭১ সালে পবিত্র শবে বরাতের রাতে আলহাজ গিয়াসউদ্দিন তাঁর বড় ছেলেসহ পরিবারের সদস্যদের পাকিস্তানি হানাদাররা বর্বর ও নির্মম নির্যাতন চালায়। 

তাঁর ক’জন আত্মীয়কে খান সেনারা ডোমার ক্যাম্পে নিয়ে অমানুষিক ও বর্বরোচিত নির্যাতন করে। গোলাম মোস্তফা ১৯৭২-৭৪ সালে জলঢাকা থানা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৭৫ থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত কারমাইকেল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং ১৯৭৭ সালে ছাত্রলীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এবং ১৯৭৮ সালে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি রাকসু নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাঙালি জাতির জীবনে ঘটে যায় বিয়োগাত্মক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে বিপথগামী কতিপয় সেনা সদস্য। কুচক্রীরা সেদিন ছোট্ট শেখ রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদে ১৬ আগস্ট রংপুর কারমাইকেল কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জাতির জনকের রক্তের ঋণ শোধ করার দৃপ্ত শপথ নেন। একারণে রংপুর অঞ্চলের মার্শাল ল’ অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের রোষানলে পড়তে হয়। 

গোলাম মোস্তফা এরপর এক বছর বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকেন। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে উত্তর জনপদের রংপুর, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাটের ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের সংগঠিত করার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন গোলাম মোস্তফা। ছাত্রলীগের কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে প্রিয় সংগঠনকে নতুন করে গড়তে এগিয়ে আসেন। ওই সময় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। জনাব গোলাম মোস্তফা ১৯৮৪ সালে জলঢাকা ডিগ্রি কলেজে অধ্যাপনা পেশায় যোগ দেন। কলেজে অধ্যাপনার পাশাপাশি রাজনীতির অঙ্গনেও তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, ’৯০-এর গণআন্দোলনসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে তিনি স্থানীয়ভাবে নেতৃত্বে থেকে অংশ নিয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও করা হয়। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর হিসেবে স্থানীয়ভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন তিনি। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা রাজনীতির অঙ্গনে সাহসী ভূমিকা পালনের সুবাদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যাওয়ার বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১২ সালে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৬৭তম অধিবেশনে যোগদানের জন্য সফরসঙ্গী হিসেবে তাকে প্রতিনিধিদলে অন্তর্ভুক্ত করেন। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার রাজনৈতিক জীবনের স্বপ্ন সাধনা ও আকাক্সক্ষা মূল্যায়ন করেছেন যথার্থভাবেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতা-কর্মীদের মূল্যায়ন করেন আদর্শিক চিন্তা-চেতনার আলোকে। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাও এমপি নির্বাচিত হয়ে জনগণের জন্য অর্পিত দায়িত্ব পালন করছেন একান্ত নিষ্ঠা ও সততায়। তিনি ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির শিক্ষা ও মানবসম্পদ উপ-কমিটির সদস্য মনোনীত হয়েছেন। 

অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা রাজনীতি এবং শিক্ষকতার পাশাপাশি সাংবাদিকতার সঙ্গেও যুক্ত। তিনি ১৯৮৪ সালে সম্পাদক ও প্রকাশক হয়ে ‘জলঢাকা’ নামে একটি পত্রিকা প্রকাশনায় যুক্ত হন। ২০১১ সাল থেকে পত্রিকাটি ‘দৈনিক জলকথা’ নামে প্রকাশিত হচ্ছে। এছাড়া তিনি ১৯৮৪ সালে জলঢাকা প্রেসক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু থেকেই এ প্রেসক্লাবের সভাপতি পদে নিরলস দায়িত্ব পালন করছেন। অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ১৯৯৬ সাল থেকে বাকশিক নীলফামারী জেলা শাখার দায়িত্ব পালন করছেন। বিদ্যোৎসাহী এই ব্যক্তিত্ব জলঢাকা ডিগ্রি কলেজ, রাবেয়া চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, শিমুলবাড়ী বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ, মীরগঞ্জ হাট ডিগ্রি কলেজ, গোলনা শহীদ স্মৃতি কলেজ, খেড়কাটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমানে তিনি জলঢাকা ডিগ্রি কলেজ, রাবেয়া চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, গোলনা শহীদ স্মৃতি কলেজ জলঢাকার সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। 

অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি জলঢাকা পৌরসভা প্রতিষ্ঠায় মূল উদ্যোক্তার ভূমিকা পালন করেছেন। রাজনীতির অঙ্গনে বিচরণকারী ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি সমাজ ও সংস্কৃতিমনস্ক। তিনি কবি, প্রাবন্ধিক ও ছোটগল্প লেখক। কথাসাহিত্যিক ও দার্শনিক এই ব্যক্তিত্ব সংবাদপত্রের জন্য ক্ষুরধার ও সুচিন্তিত সম্পাদকীয় লিখে বিদগ্ধজনের দৃষ্টি কেড়েছেন। তিনি শুধু শাস্ত্রবিশারদ নন- বিশুদ্ধ বাংলা ব্যাকরণেও রয়েছে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য। চিন্তা-চেতনায় পরিশীলিত একজন খাঁটি বাঙালি দেশপ্রেমিক অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি, নিজ জন্মস্থানের মাটিকে পবিত্র জ্ঞান করে এর উর্বরতা ধরে রেখে কৃষিসম্পদে আরো সমৃদ্ধ করতে চান জলঢাকার প্রতিটি ইঞ্চি।