বিজ্ঞাপন দিন

ঝুঁকিপূর্ন বাঁশের সাকোঁয় যখন ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের একমাত্র ভরসা


রতন কুমার রায়,ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বুকচিড়ে বয়ে যাওয়া চেকাডারা নদীর বাবুর বান নামক স্থানে বাঁশের সাকোঁয় স্কুল পড়–য়া ছাত্র-ছাত্রী ও গ্রাম বাসীদের ঝুকিঁ নিয়ে চলছে নিয়মিত পারাপার । সরেজমিন জানাযায় ,ডোমার উপজেলার কয়েকটি গ্রামের জনসাধারনের উপজেলা সদরের যাতায়াতের একমাত্র পথ নদীর উপরে যুগের পর যুগ বাঁশের সাকোঁয় চলছে পারাপার।কোন কোন বছর পারাপারের একমাত্র সাকোঁটি বন্যার পানীতে ভেসে যায় । সাকোঁটি নদীর পানীতে ভেসে গেলে ,ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় । নিমোজখানা স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মহাদেব,কাজল চন্দ্র,তুলসি রানী জানায়, বর্ষায় বাঁশের সাকোঁটি ভেঙ্গে গেলে প্রায় ৫কিলোমিটার ঘুড়ে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। নদীর তীরে অবস্থিত শিবগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সুমি আকতার, মাধবী রানী,মোনা সরকার জানায়,আমরা স্কুল শুরু ও ছুটির সময়ে ছাত্র-ছাত্রীদের পারাপারের সময় দুঃচিন্তায় থাকি ,কখন অনাকাংখিত ঘটনা ঘটে যায়। ভাঙ্গাচুড়া বাঁশের সাকোঁটি নরবরে হওয়ায় নদীর ওপারের বেশীর ভাগ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। এ

লাকাবাসী, গোপাল চন্দ্র রায়,বিকাশ চন্দ্র রায়,হরিহর চন্দ্র রায়,পরিমল চন্দ্র রায়, বিষ্ণু চক্রবর্তী জানান ,বর্ষা গ্রীষ্ম সব ঋতুতেই নদী পারাপার হতে হয়,কখনো কখনো বাশেঁর সেতুটি ভেঙ্গেঁ যায় তখন নদীতে জলে ভিজে পারাপার হই । তাতেও দুঃখ নেই কিন্তু দুঃখ তখন হয় তখন যখন কোন মূমুর্ষ রোগীর জন্য এম্বুলেন্স বা গাড়ীর প্রয়োজন হয় তখন নদীতে ব্রীজ না থাকার কারনে গ্রামে এম্বুলেন্স বা গাড়ী ঢুকতে পারে না। অনেকদিন ধরে আমরা এই নদীর উপর ব্রীজ নির্মানের দাবী জানালেও অদ্যাবধি ব্রীজ নির্মান হয়নি। ব্রীজ নির্মান বর্তমানে এ এলাকার প্রানের দাবীতে পরিনত হয়েছে। এ ব্যাপারে ,বোড়াগাড়ী ইউ,পি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ জানান,এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা ভাবনা করে ডোমার-ডিমলার মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আফতাব উদ্দিন সরকারের সাথে কথা হয়েছে তিনি নদীর উপড়ে দ্রুত ব্রিজ নির্মান করার ব্যবস্থা করবেন। ডোমার উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলৗ আব্দুর রউফ জানান, আমরা চেকাডাড়া নদীর ঘাটে একটি প্রাথমিক জরিপ করে স্থানীয় এমপির সুপারিশসহ কাগজ পত্র উপরে পাঠিয়েছি ।