বিজ্ঞাপন দিন

চিলাহাটীতে পরকিয়া প্রেম করতে গিয়ে শ্রীঘড়ে যুবক

রতন কুমার রায়-ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে পরকিয়া প্রেম করতে গিয়ে শ্রীঘড়ে ঠাঁই হলো ইউসূফ আলী (২৭) নামের এক যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে, সোমবার(১৭সেপ্টেম্বর)জেলার ডোমার উপজেলার ভোগডাবুড়ী ইউনিয়নের চিলাহাটীতে। চিলাহাটি বাজারের এলএসডি পাড়া (কুলিপাড়া) আশু মিয়া গেল্লার ২৫ বছরের বিবাহিত মেয়ের সাথে পরকিয়া প্রেম করতে এসে অবৈধ মেলা মেশার সময় এলাবাসীর হাতে ধরা পরে বর্তমানে শ্রীঘড়ে রয়েছে ওই যুবক। জানা গেছে, আশু মিয়া গেল্লার মেয়ের সাথে প্রায় ১১ বছর পূর্বে বিয়ে হয় গোসাইগঞ্জ আদর্শ গ্রামের হাসিবুল ইসলামের। হাসিবুল বিয়ের পর তার স্ত্রীকে নিয়ে আদর্শ গ্রামে বসবাস করতে থাকে সংসারের অভাব অনটনের কারণে স্ত্রীকে রেখে হাসিবুল প্রায়ই ঢাকায় কাজ করতে যেত। সেই সুযোগে ওই এলাকার আব্দুল খালেক গোয়াল আমিনের ছেলে ইউসূফ আলী (২৭) প্রায় সময় হাসিবুলের স্ত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে পরকিয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং অবৈধ মেলামেশা শুরু করে। এক পর্যায়ে বিষয়টি গ্রামবাসীর নজরে পড়লে এবং তা প্রচার হলে হাসিবুল সংসার বাচানোর তাগিদে তার স্ত্রীকে ও ১২ বছরের সন্তানকে নিয়ে আদর্শ গ্রাম থেকে চলে আসে শশুর বাড়ী চিলাহাটি এলএসডি পাড়ায় এবং কাজের সন্ধানে আবারো ঢাকায় চলে যায়। সুযোগ সন্ধানী ইউসূফ পুনরায় হাসিবুলের স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে পুনরায় সম্পর্ক স্থাপন করে আশু মিয়া গেল্লার বাড়ীতে যাতায়াত শুরু করে। 

ঘটনার দিন সোমবার(১৭সেপ্টেম্বর)ইউসুফকে তার প্রেমিকার সাথে অবৈধ মেলা মেশার সময় এলাবাসীর হাতে ধরা পরে। পরের দিন মঙ্গলবার একটি সুযোগ সন্ধানী মহল গোপনে ইউসূফের পিতার সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আসল ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়ে প্রেমিক যুগলকে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায়। সেখানে শুরু হয় দেন-দরবার। এলাকার শত শত মানুষ থানার সামনে উপস্থিত হয়ে ন্যায্য বিচারের দাবী জানালে সাধারণ মানুষকে ন্যায্য বিচারের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করে পলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে চলে যেতে বলে। পরে গভীর রাত পর্যন্ত ঘটনা নিয়ে একাধিক বৈঠক করেও কোন নিষ্পত্তি না হওয়ায় রাত ২ ঘটিকায় ধর্ষণের সুবিচারের জন্য ধর্ষিতা মেয়েটি চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে লিখিত এজাহার দায়ের করেন। পরে একটি মহলের প্ররোচনায় মেয়েকে দিয়ে একটি আপোষ মিমাংসা পত্রে সাক্ষর নেয়।আজ বুধবার লোক দেখানোর জন্য পুলিশ ইউসুফ ও তার প্রেমিকাকে ডোমার থানায় পাঠিয়ে দেয়। ইউসুফ বর্তমানে ডোমার থানা হাজতে রয়েছে।এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মোকছেদ আলী।