বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় অপ-চিকিৎসার কবলে পড়ে এক শিশু পঙ্গুত্বের সন্ধিক্ষনে হাসপাতালে কাতরাচ্ছে"

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা (নীলফামারী): নীলফামারীর জলঢাকায় ৪ বছরের এক শিশু ভুল চিকিৎসার কবলে পড়ে পঙ্গুত্বের সন্ধিক্ষনে ডোমার বোড়াগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাতরাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগে প্রকাশ,উপজেলার ধর্মপাল ইউনিয়নের খেড়খেটি বাজারে তামিম মেডিকেল হলে গেল মাসের ২১ আগষ্ট বাইসাইকেল দূর্ঘনাজনিত কারনে দ্রুত চিকিৎসা নিতে যায় একই এলাকার দেলোয়ার হোসেনের চার বছরের শিশু সুমন হোসেন। চিকিৎসার সময় শিশুটির পাশে ছিলেন তার মা শিউলী বেগম। এসময় শিশুটির পরিবারকে পূর্ন নিশ্চয়তা দিয়ে ১৫ শত টাকা ভিজিট নিয়ে ক্ষতস্থানটিতে চিকিৎসা চালান নিজ চেম্বারে খোরশেদ আলম ওরফে দুলাল। এসময় তিনি শিশুটির ডান পায়ে ১৩টি সেলাই দিয়ে মৌখিক কিছু ঔষধ দিয়ে বাড়ি যেতে বলেন পরবর্তীতে শিশুটির অবস্থা বেগতিক হলে পরিবারের লোকজন ডোমার বোড়াগাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে সে চিকিৎসাধীন। কর্তব্যরত চিকিৎসক মেডিকেল অফিসার তপন কুমার রায় বলেন,শিশুটি প্রথমে সঠিক চিকিৎসা পায়নি।যার কারনে তার মাংসে সেকেন্ডারী ইনফেকশন হয়েছিলো।বর্তমানে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে।আশা করি ভালো হয়ে যাবে শুধু সময় লাগবে। এ ব্যাপারে পল্লী চিকিৎসক খোরশেদ আলম ওরফে দুলাল অভিযোগ স্বীকার জানান,রোগীকে যেভাবে আমি ঔষধ দিয়ে ও ড্রেসিং করেছি।কিন্তু রোগীর পরিবারের ভুলের কারনে এই ইনফেকশন হয়েছে।তবে রোগীর খোজ-খবর রাখছি। শিশুর মা শিউলী বেগম গনমাধ্যমকে বলেন,আমরা গরীব মানুষ।গরীবের জন্যই প্রথমে দুলাল ডাক্তারের চিকিৎসা দিয়েছি।কিন্তু তার ভুল চিকিৎসার কারনে আমার ছেলের পায়ের মাংস পচে গেছে।সে চিকিৎসাবাবদ আমার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকাও নিয়েছিলো। আমি এখন কী যে করি? ছেলেকে নিয়ে মহাচিন্তায় আছি।