বিজ্ঞাপন দিন

কিশোরগঞ্জের শিল্পি শরিফ হোসেন টুই-টুম্বুর মাংসপেশীর খেলায় নৃত্যের কসরতে মাথালেন দেশবাসীকে

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী): ঘুংউর-ঘুংউর শব্দ মাংসপেশীর তরঙ্গে শরীরকে ব্যাঙ্গত্বক করে নৃত্য করে বিদগ্ধ জনের দৃষ্টি কেড়ে সারাদেশ ব্যাপিকে মাতিয়ে দিলেন নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের ছেলে শরিফ হোসেন (২১)। বৃহস্পতিবার এক পরিপত্রের আওতায় এ খবর মিলে সংবাদকর্মীদের। ২০১৩ সালে অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে নাঁচের জগতে পা রাখে এই ছেলেটি। প্রথমে কিশোরগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি থেকে রাজু আহম্মেদ নামের এক প্রশিক্ষক তাকে উৎসাহ দিয়ে নীলফামারী জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে অংশ নিয়ে বিভিন্ন আনন্দমঞ্চে নৃত্যের তাল দিয়ে সৃষ্টি করে অসাধারণ নৈপূর্ণতা। তার বাড়ী পানিয়ালপুকুর ফরুয়া পাড়ায়। অভাব অনাটনের সংসার হলেও নিজের প্রতিভাকে উন্মুক্ত করতে জলঢাকা শিল্পকলা একাডেমি সহ রংপুর বিভাগের বিভিন্ন মঞ্চে এবং টেলিভিশনে নাঁচ করে মনোমুগ্ধকর কসরতের আবির্ভাব করে সে। ২০১৫ সালে এমআর ওয়াজেতের ঢাকার নৃত্য সংগঠন নন্দনকলা কেন্দ্রে বর্তমানে সে নাঁচ শিখছে। এমনকি ঢাকা শান্ত মারিয়ম ড্যান্স ডিপার্টমেন্টের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র হিসাবে সে অধ্যায়নরত।

শরিফের বাবা নয়া মিয়া ছিলেন একজন ইউপি সদস্য। তবে পরলোক গমন করেছেন অনেক আগে। তার নাঁচে সহযোগিতা করেন বেলায়েত হোসেন খাঁন ও শফিক আজাদ নামের নৃত্য প্রশিক্ষকরা। শরিফের ইচ্ছে বাংলাদেশের একজন নৃত্য শিল্পি হয়ে বিশ্বের কাছে তার প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে চান। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের গুণি মানুষদের সহযোগিতার হাত প্রসারিত পেলে বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে বিদেশে ভাবমূর্তি উজ্বল করবে ডিজিটাল এ সোঁনার বাংলার। এ বিষয়ে নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর গোলাম মোস্তফা এমপি বলেন, নিঃসন্দেহে শরিফ একজন গুণগত আর্টিস। তার প্রতিভা বিকশিত হউক রন্ধে রন্ধে। রংপুর বিভাগীয় কাউন্সিল অব ভোক্তা অধিকার এর নির্বাহী সদস্য ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা নীলফামারী জেলা শাখার উপদেষ্টা সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল দত্ত বলেন, শরিফ নীলফামারীর এক রতœ সে সরকারী সহযোগিতা পেলে তাঁক লাগিয়ে দেবে বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশকে। শরিফ হোসেন জানান, আমি গরীবের ছেলে নেশা-পেশা, ধ্যান-জ্ঞান আমার এটার মধ্যেই পড়ে থাকি। দেশের জন্য কিছু করতে চাই।