বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় হ-য-ব-র-ল হাসপাতালটি ৪ লাখ মানুষের সেবা প্রদানে এখন উন্নতিকরণে

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী): নীলফামারী জলঢাকার ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির নানান সংকুলান কাটিয়ে ৪ লাখ মানুষের সেবা প্রদানে করেছে নানা ডিজিটাল প্রযুক্তি। হাসপাতালটিতে এখন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে দুরদুরান্তের রোগীরা ভীড় জমাচ্ছে। বিগত দিনে হাসপাতলটির অবস্থা ছিল হ-য-ব-র-ল। রোগীরা চিকিৎসা সেবা পেত না। ডাক্তারও ছিল দুইজন এখন আর তা নেই। গেল বছরের ৪ ফেব্রুয়ারী ডাক্তার জেড.এ ছিদ্দিকী উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করার পর পরিবর্তন ঘটেছে অনেক কিছুর। এখন হাসপাতালটিতে ৯ জন ডাক্তার রয়েছে। ২ জন কনসাল্টেন, ১ জন সার্জারি, ১ জন গাইনী, ১৮ জন সিনিয়র স্টাফ রয়েছে। 

ব্যতিক্রমটি ঘটিয়েছেন মেডিকেল অফিসার ও পঃপঃ কর্মকর্তা জেড.এ সিদ্দিকীর নিজ অর্থায়নে। ব্যবস্থা হয়েছে সিসি ক্যামেরার। গ্যারেজও করা হয়েছে আধুনিক। আইপিএস ব্যবস্থা সহ এ্যাম্বুলেন্সের গ্যারেজ, কোয়াটারের পানি সাপ্লাইয়ের জন্য এবং মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসা প্রদান হচ্ছে উন্নত। ডাক্তার জেড.এ ছিদ্দিকী শনিবার এ প্রতিবেদকে বলেন, হাসপাতালের প্রাচীর ভেঙ্গে গেছে। জমি ৬ একর ৩৫ শতাংশ রয়েছে। তবে বেদখল হয়েছে ৩ একর ৭৮ শতাংশ। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি বিষয়টি আমলে নিলে আরোও উন্নত হতে পারে এখানকার ৪ লাখ মানুষের সেবা। এবিষয়ে গোলমুন্ডা ইউনিয়নের কাজী মোঃ মোশাররফ হোসাইন বলেন, হাসপাতালটিতে পূর্বে যে অবস্থা ছিল তার চিকিৎসা নেওয়ার কোন উপযোগি ছিল না। এখানকার প্রধান কর্মকর্তার নির্লস শ্রমে ধর্মীয় অনুভূতি রেখে তিনি যা যা করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশাংসার দাবীদার। মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শারমীন আফরোজ জানান, এখানে সিজারও ভাল হয় বলেই বিভিন্ন থানা থেকে রোগীরা এখানেই চিকিৎসা নিতে আসে।