বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভেজাল তেলে সয়লাব ॥ কর্তৃপক্ষ নিরব

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পেট্রোল পাম্পগুলোতে ভেজাল তেলে সয়লাব হয়ে পড়েছে। সংশিষ্ট কর্তপক্ষের নজরদারীর অভাবে কেরোসিন ও করডেনসেট মিশিয়ে অবাধে এই ভেজাল তেল বিক্রি করছে তেল পাম্পগুলো। বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের প্রতিনিয়ত তেলের মান ও ওজন তদারকি করা নিয়ম থাকলেও তাদের উদাসীনতা ও অবহেলার কারনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাম্প মালিকগন। ফলে এই ভেজাল তেল ব্যবহার করে প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে গাড়ী চালক সহ সাধারন জনগন। বিকল হয়ে পড়ছে হাজার হাজর মটর সাইকেল সহ বিভিন্ন যানবাহন। এ সব তেল গাড়িতে ঢুকানোর কিছুক্ষন পরপর গাড়ি বন্ধ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন মটর সাইকেল চালক সিরাজুল ইসলাম। কোথাও যেতে হলে তা সময় মত যেতে পারেন না তারা। 

ভেজাল তেল গাড়িতে ঢুকিয়ে মটর সাইকেলের ইঞ্জিন নষ্ট হয়েছে বলে জানান,হাফেজ আবু তালেব। ভেজাল তেল রোধে জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে ভায়া করে নিয়ে আসা জ্বালানি তেল দিয়ে বর্তমানে গাড়ি চালাচ্ছে জলঢাকা উপজেলার অধিকাংশ গ্রাহক। কেরোসিন মিশ্রিত ভেজাল তেল বিক্রি করার অপরাধে গত বছর উপজেলার টেংগনমারীতে অবস্থিত মেসার্স সুমাইয়া ফিলিং স্টেশনকে জরিমানা করেন,তৎকালিন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাঃ রাশেদুল হক প্রধান। ভেজাল তেলের বিষয়ে মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে মেসার্স সুমাইয়া ফিলিং স্টেশনের মালিক শাহিন ইসলাম এই প্রতিবেদককে নীলফামারী এসে দেখা করতে বলেন। এ সব ভেজাল তেল বিক্রিতে অসাধু কিছু ব্যবসায়ী এর সাথে জড়িত বলে জানান,পেট্রোলপাম্বে নিয়োজিত কয়েকজন শ্রমিক। বিএসটিআই কতৃপক্ষ সকল পণ্যের মান ও ওজন নিয়ন্ত্রনের কথা থাকলেও ভেজাল জ্বালানি তেলের বিষয়ে এড়িয়ে যান বিএসটিআই রাজশাহী আঞ্চলিক ডিরেক্টর সেলিম রেজা। তিনি বলেন, বিএসটিআই শুধু তেলের ওজন দেখে,মান দেখে না। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার রায় বলেন,ভেজাল তেল বিক্রির সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ।