বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ নিতে দালালদের খপ্পরে গ্রাহকরা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার, ঘরে ঘরে বিদ্যুত যাবে সবার । সাধারন মানুষের কাছে দ্বার প্রান্তে বিদ্যুত পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে, সারা দেশের ন্যায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১ ইউনিয়নে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুত বিতরণ কাজ শুরু করেছে, পল্লী বিদ্যুত সরবরাহ কেন্দ্র নীলফামারী । এরেই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বালাগ্রাম ইউনিয়নে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের পোল ও সরঞ্জামাদি ফেলেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডে প্রায় দুই আড়াই শত পরিবার প্রত্যেকের বাড়িতে বিদ্যুতের তার গেলেও টাকার জন্য সংযোগ নিতে পারছে না হত- দরিদ্র গ্রাহকরা । দিন এনে দিন খাওয়া এ সব পরিবার দাদন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা সুদের উপর এনে দেয় দালালদের হাতে । জলঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, মিটারের জন্য ৪ শত টাকা, সদস্য ফি ৫০ টাকা, ওয়ারিং ১১৫ টাকা, মোট ৫ শত ৬৫ টাকা প্রতি গ্রাহকের খরচ হবে । ৫ শত ৬৫ টাকা যদি অফিস খরচ হয়, তাহলে তিন থেকে সাড়ে চার হাজার টাকা কেন? সরেজমিনে গেলে জানা যায়, স্থানীয় ইউ পি সদস্য মিলন ও হযরত আলী সম্রাট নামে এ দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ভুড়ি ভুড়ি । সিট মীরগঞ্জ সালন গ্রাম বসুনিয়া পাড়া ময়দানের পাড় এলাকার অভিযোগকারী, আব্দুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মোর্শেদা খাতুন ও মঞ্জুয়ারাসহ অনেকে জানায়, হাজারে ১৫০ টাকা হারে সুদের উপর টাকা নিয়ে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ইউপি সদস্য মিলনের হাতে জমা দেন । টাকা দেয়ার তিন মাস হলেও এখন পর্যন্ত বিদ্যুত পাচ্ছেনা গ্রাহকরা । এদিকে সুদের টাকার জন্য বিপাকে পড়েছে তারা । অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে, ইউপি সদস্য মিলন বলেন, আমার বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ এনেছে তা মিথ্যা । তবে টাকা ছাড়া বিদ্যুত হবে না, আপনি পারলে আমার বিরুদ্ধে লিখতে পারেন । এ ব্যাপারে জলঢাকা পল্লী বিদ্যুতের এরিয়া ম্যানেজার তারিকুল ইসলাম মুটো ফোনে জানান, এ ধরনের অভিযোগ এখনো পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব । এ বিষয় নীলফামারী পল্লীবিদ্যুত এর জি এমের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, যারা টাকা দেয়, আর টাকা নেয় উভয়েই অপরাধী । তবে এ রকম অভিযোগ পাওয়া গেেেল, আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে ।