বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারী-৩আসনে ত্রিমুখী লড়াই ফ্যাক্টর এখন জাপা

মানিক লাল দত্ত, জলঢাকা (নীলফামারী): নীলফামারী-৩ আসনে আওয়ামী পরিবারের সদস্য জলঢাকা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোওয়ার হোসেন বুধবার গনমাধ্যম কর্মীকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, নীলফামারী-৩ আসন থেকে আওয়ামীলীগের যিনি মনোনয়ন প্রার্থী হবেন তিনি হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর গোলাম মোস্তফা এমপি। যার গুনাবলী দেশ প্রেম নেত্রী মনে রেখেছে ৭৫ এর পরে কারমাইকেল কলেজ থেকে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বক্ষে লালন করে যিনি প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছেন গনমানুষের কাজগুলো। তবে এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের হিরিক লেগেছে। বিএনপি, জাতীয় পার্টি,আওয়ামীলীগ,জাসদ,পাখা মার্কা চরমোনাই পীর এসব দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ আসনে ব্যানার,ফেষ্টুন,প্লাকার্ডে ভরে দিয়েছেন পুরো উপজেলা তবে ফ্যাক্টর হয়ে দাড়িয়েছে সকলের কাছে জাতীয় পার্টির (জাপা) ইতো মধ্যে দলটির হাইকমান্ড মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল কে মনোনীত করে মনোনয়ন দিয়েছেন। শেষমেশ জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি কাজী ফারুক কাদের, ডাঃ বাদশা আলমগীর হতাশার বিহব্বলে উদ্বিগ্ন উৎকণ্ঠায় কাটছে তাদের দিন। এদিকে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার খবরে হৈ চৈ শুরু করে দিয়েছে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কিছু প্রার্থী। জাসদের হাসানুল ইনুর কাছ থেকে একক মনোনয়ন নিচ্ছেন নীলফামারী জেলা জাসদের সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম। থেমে নেই চরমোনাই পীর থেকে পাখা মার্কা নিয়ে মনোনয়ন প্রাপ্ত আমজাদ হোসেন সরকার এখন বাড়ি বাড়ি ভোট প্রার্থনা করছেন। আন্ত কোন্দল রয়েছে সরকার প্রধান দল আওয়ামীলীগে। বিএনপিতে মনোনয়ন নিয়ে চলছে চাচা-ভাতিজার টানা হেছড়া। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধূরী (কমেট) বিএনপি থেকে মনোনয়ন চাচ্ছেন কিন্তু বাধা তার চাচা পৌর বিএনপির সভাপতি আহম্মেদ সাঈদ ডিটু চৌধূরী তিনিও মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি থেকে। আওয়ামীলীগে যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু, সাধারন সম্পাদক শহীদ হোসেন রুবেল,যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর, নতুন মুখ হিসাবে এ আসনে মনোনয়ন চাচ্ছেন এ আসনের সাবেক মনোনয়ন প্রাপ্ত প্রয়াত দিপেন্দ্র নাথ সরকার (দিপু বাবুর) কন্যা ববিতা রাণী সরকার। জামায়াত থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম। স্বতন্ত্র থেকে আরো একজন প্রার্থীর নাম শোনা যায়, তিনি জলঢাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী। সব মিলিয়ে কে হচ্ছেন এ আসনের কান্ডারি তা দেখার অপেক্ষায় এআসনের চার লাখ ভোটারের।