বিজ্ঞাপন দিন

ডিমলায় আদালতের রায় পাওয়া শর্তেও জমিতে উঠতে পারছেনা তোফাজ্জল হোসেন

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারী ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের উত্তর সোনাখুলি গ্রামের মৃত নছিম উদ্দিনের ছেলে তোফাজ্জল হোসেন (৬০), কবলাকৃত জমি নিয়ে, হয়রানির স্বীকার হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । চাপানী বাজার মন্দির এলাকার মৃত ননী বাবুর নিকট থেকে প্রায় ১৪ বছর আগে উত্তর ঝুনাগাছ চাপানী মৌজার জে, এল নং-৪৯, খতিয়ান -১৭২৫, দাগ নং-৪২৯৩ জমির পরিমান ৯১ শতকের মধ্যে ১৩ শতাংশ জমি কবলা সূত্রে ক্রয় করেন অভিযোগ কারী তোফাজ্জল হোসেন । উত্তর ঝুনাগাছ চাপানীর মৃত অছিমুদ্দিনের ছেলেরা পেশীশক্তি খাটিয়ে জমি জবর দখলের চেষ্টা চালায় । চাপানী বাজারে সাথে অছিমুদ্দিনের বশত বাড়ী সংলগ্নে জমিটি হওয়ায় , জমি জবর দখলের পায়তারা চালাতে থাকে । যার ফলে অভিযোগ কারী ইউনিয়ন সহকার কমিশনার(ভূমি) অফিসার বরাবর গত ২০১৩ সালে খারিজ বাতিল কেস করে যার নং-০৪/১২-১৩ । সহকারী কমিশনার(ভূমি) অফিসে তদন্ত সাপেক্ষে জমির কাগজপত্রাদী পর্যালোচনা করে বিবাদীদের কাগজপত্রাদী সঠিক না পাওয়ার, অভিযোগ কারীর পক্ষে রায় দেন । রায় উপেক্ষা করে, এ রায়ের বিরুদ্ধে বিবাদীগন নীলফামারী অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আদালতে মিস আপীল মামলা ২১/১২ দায়ের করেন । দীর্ঘদিন মামলা চলার পর, আবারো তোফাজ্জল হোসেনের পক্ষে রায় দেন আদালত । রায় পাওয়ার কিছু দিন পর, জমিতে যাওয়ার চেষ্টা করলে, অছিমুদ্দিনের ছেলেরাসহ তাদের ভারাটে লোকজন গত ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া জমিতে প্রবেশ না করার জন্য প্রাণনাশের হুমকি দেয় । অভিযোগ কারী তোফাজ্জল হোসেন জানান, জমিটা তাদের বশতবাড়ীর সাথে হওয়ায়, জমিটি জবরদখল চেষ্টা চালায় । চাপানী বাজার সংলগ্ন জমিটি ক্রয় করছি ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য । তাদেরকে জমিটা লিখে দিতেও চাপ সৃষ্টি করে । তা না হলে , আমিসহ আমার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করবে বলে তারা আমাকে শাসিয়ে যায় । তোফাজ্জল হোসেন, একজন সহজ সরল ব্যক্তি এবং আইনের উপর শ্রেদ্ধাশীল, তাই তিনি কবলা সূত্রে মালিকানা জমি উদ্ধারের জন্য সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেছেন ।