বিজ্ঞাপন দিন

কিশোরগঞ্জে দুর্গাপুজা উপলক্ষে আনছার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

ভ্রাম্যমান সংবাদদাতাঃ নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের দুর্গাপুজায় নিরাপত্তার জন্য আনছার সদস্য নিয়োগে অনিয়ম ও দূনীতির অভিযোগ উঠেছে। নিয়ম বহিঃভূত অপ্রশিক্ষিত আনছার, নগদ অর্থের লেনদেন, ও অফিসে না বসে পছন্দের একটি বাড়ীতে বসে আনছার সদস্য নিযোগ দেয়া হয়েছে বলে সংশ্নিষ্ট ইউনিয়ন কমান্ডাররা এসব অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে জানা গেছে, হিন্দু সম্প্রদায়ের চলমান দুর্গাপুজা উৎসবে ১৫০ টি মন্দিরের জন্য ৬২২ জন নিরাপত্তা কর্মী (আনছার) নিযোগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে অধিক ঝুকিপূন মন্দিরে ৬ জন, ঝুকি পূন মন্দিরে ৫জনসহ সাধারণ মন্দিরগুলোতে ৪জন করে আনছার সদস্য সর্বদা নিবাপত্তার দায়িত্বে থাকবে। কিন্তু এসব আনছার নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও দূনীতির মাধ্যমে নিযোগ দেয়া হয়েছে বলে গাড়াগ্রাম ইউনিয়ন কমান্ডার মোস্তফা মিয়া, মহিলা কমান্ডার সোহাগী বেগম, মাগুড়া ইউনিয়নের মল্লিকা বেগম, বড়ভিটা ইউনিয়নের জাহানারা বেগম ও চাঁদখানা ইউনিয়নের আনিছুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সরকারী নিয়মানুযায়ী যাচাই বাচাইয়ের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত সনদ প্র্রাপ্ত সুস্থ ও সবল ব্যাক্তিদেরকে আনছার নিয়োগ দেওয়ার কথা থাকলেও, উপজেলা আনছার ভিডিপি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কল্পনা রানী রায় তা না করে তেলিপাড়ার জনৈক এক ব্যাক্তির একটি বাড়িতে বসে গভীর রাত পর্যন্ত নগদ অর্থের বিনিময়ে ফিটনেস বিহীন রোগাক্লান্ত ও অপ্রশিক্ষিত আনছার সদস্য নিয়োগ দিয়েছেন। উপজেলা জনকল্যাণ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সাইয়েদ হোসেন সাবুল বলেন, আমি জানতে পেরেছি প্রতিটি আনছার সদস্যের কাছ থেকে ৪”শ থেকে ৫”শ টাকা করে নেয়া হয়েছে। আমি উপজেলা আনছার ভিডিপি অফিসে গিয়ে বলে এসেছি কোন আনছার সদস্যের কাছে টাকা নিয়ে যেন নিয়োগ দেয়া না হয়। কিন্তু সে কথা তিনি রাখেননি। উপজেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও দুর্নীতিমুক্ত কিশোরগঞ্জ গড়ার অগ্রপথিক শরিফুল ইসলাম সাজু বলেন, আনছার সদস্য নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে তা আমি ইউনিয়ন কমান্ডার ও ভুক্তভোগীদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি। গাড়াগ্রাম ইউনিয়নের সয়রাগন্ধা গ্রামের ভুক্তভোগী আনোয়ারা বেগম, কিশোরগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের আফিজা বেগম ও গদা মাঝাপাড়া গ্রামের আজরে বেগম আনছার সদস্যে হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য ৫শ করে টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। উপজেলা আনছার ভিডিবি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কল্পনা রানী রায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সরকারী বিধি মোতাবেক আনছার সদস্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা আনছার ভিডিবি কমানডেন্ট আশিকুর রহমান বলেন, তালিকাভুক্ত আনছার সদস্যেদের কাছে যদি কোন অর্থের লেনদেন হয়ে থাকে তাহলে অফিসিয়ালী ব্যাবস্থা নেয়া হবে।