বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় কে হচ্ছেন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী


রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী জলঢাকা-৩ আসনে কে হচ্ছেন ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী। জামায়াতে ইসলামীর অধ্যক্ষ আজিজুল হক নাকী সদ্য বিএনপিতে যোগদান করা দু’বারের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী। এ নিয়ে ভোটারদের মনে শেষ হয়নি জল্পনা-কল্পনা। ২০ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসাবে তারা কাকে পাবেন । দলীয় সূত্র জানিয়েছে, বিএনপি থেকে ৩ জন মনোনয়ন পত্র কিনলেও জামায়াত থেকে স্বতন্ত্র হিসেবে একজন মনোনয়ন পত্র কিনেছেন। জানা গেছে, স্বাধীনতার পর (১৯৭৩) সাল থেকে এ পর্যন্ত ১০টি নির্বাচন হয়েছে । অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছে ৬টি আর বাকী চারটি হয়েছে শাসক দলের একতরফা নির্বাচন। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে ৬টির মধ্যে জামায়াতি ইসলামী বিজয়ী হয়েছে ৪ টিতে। একটি ছিল জোটগত ১৯৭৯ সালে কাজী কাদের ইসলামীক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিয়েল), জামায়াত ও মুসলিমলীগ। এই তিনটি দল তখন জোট বেধেঁছিল। বাকী ২টিতে একবার আওয়ামীলীগ ও একবার জাতীয় পার্টি। জামায়াতের ঘাটি হিসেবে পরিচিত এ আসনটি । ২০০৮ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম মহাজোট প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনে তিনি অংশগ্রহণ করেননি। এবার তাঁর দল জামায়াতে ইসলামী তাকে মনোনয়ন নিশ্চিত করেছে বলে অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম জানায়। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ চালাচ্ছেন তিনি। কেন্দ্র্রীয় মজলিসের সূরা সদস্য অধ্যক্ষ আজিজুল ইসলাম বলেন ‘১৯৯৬ সালে নির্বাচনে সারাদেশে জামায়াতের ৩ টি আসনের মধ্যে জলঢাকা একটি। এখানকার জামায়াতের নেতা কর্মীরা বিভিন্ন মামলা হামলায় জর্জ্জরিত। তাই ২০ দলীয় জোটের হাই কমান্ড আমাকে মনোনিত করবেন বলে আশা করছি। তা না হলে আমার দলকে নিয়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে যাব।’ অন্যদিকে বিএনপি থেকে জলঢাকা পৌর মেয়র ও বিএনপি’র সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী ও তার চাচা বিএনপির পৌর সভাপতি আহম্মেদ সাঈদ ডিডু চৌধুরী মনোনয়ন কিনেছেন। এছাড়াও অভিমানে দল থেকে নিষ্ক্রিয় থাকা একসময়কার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে হাত রেখে পূনরায় বিএনপি’তে যোগদান করে দল থেকে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন তিনি। ‘সৈয়দ আলী বলেন, ১০ বছর ধরে আমি সরাসরি ভোটের রাজনীতির সাথে জড়িত। জলঢাকা বাসীর অপূরনীয় ভালবাসায় সিক্ত হয়ে পর-পর দু’বার বিপুল ভোটে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছি। ভবিষ্যতে বৃহৎ পরিসরে জনসেবার উদ্দেশ্যে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যাহার ফলসূরূপ বিএনপিতে পূনরায় সক্রিয় হওয়া। এক দশক ধরে বিভিন্ন কারণে বিএনপিতে নিষ্ক্রিয় ছিলাম। যদিও আমার রাজনীতির হাতে খড়ি বিএনপি থেকে। ২০ দলীয় জোট মনোনয়ন দিলে আসনটি উপহার দিতে পারব।’ এ নিয়ে শুরু হয়েছে জলঢাকায় নতুন করে মেরুকরন।