বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় উঠছে আগাম জাতের আলু

রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় উঠেছে আগাম সাদা-৭ জাতের আলু। উৎপাদন কম হলেও বেশি লাভের আশায় কৃষকরা বয়ঃসীমা পূর্ন না হলেও ক্ষেত থেকে তুলছে এ আলু। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ আগাম জাতের আলু চাষ করা হয়েছে। রবিবার দুপুরে পৌর এলাকার আমরুলবাড়ী এলাকায় উচু জমিতে কৃষক জিয়াউর রহমান ক্ষেত থেকে আলু তোলার সময় কথা হলে এ প্রতিবেদকের তিনি জানান, এ বছর ১৬ শতক জমিতে সাদা-৭ জাতের আলু আশ্বিন মাসের শেষের দিকে এ বীজ রোপন করেছিলাম। ৫৪ দিনের মাথায় আলু তুলছি। ফলন ভাল না হলেও ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রির আশায় আগাম তুলে ফেলছি। এই জমিতে আমার শুরু থেকে বীজ, সার, সেচ, কীটনাশক ইত্যাদি সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ৮ হাজার ৫ শত টাকা। আলু হবে প্রায় ৬ শত কেজি। যাহার বাজার মূল্য দাড়াবে (৬০০দ্ধ৩০) ১৮ হাজার টাকা। খরচ বাদে আমার লাভ হবে ৯ থেকে ১০ হাজার টাকা। ক’দিন পরে এ দাম আর থাকবে না। এজন্য এই আলু আগে তোলা। পাইকার ইলিয়াস হোসেন জানায়, আমরা বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে আলু কিনে রাজধানী সহ বিভিন্ন এলাকায় পাঠিয়ে দেই। এখন প্রতি কেজি আলু ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে দক্ষিণ অঞ্চলে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করি। উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মাহাফুজুল হক জানিয়েছে, এবারে আগাম জাতের আলু ৪ শত হেক্টর জমিতে কৃষকরা লাগিয়েছে। আলু পূর্নাঙ্গ হতে ৬০-৭০ দিন লাগে। বয়সসীমা পূর্ন হলে উৎপাদন বেশি হয়। তবে কৃষকরা বেশি লাভের আশায় এখন ৫০ থেকে ৫৫ দিনের মধ্যে এ আলু তুলে তুলছে। ফলে এ আলুর উৎপাদন অনেক কম হচ্ছে। কিন্তু দাম দিয়ে তা পুষিয়ে নেওয়া যায়।