বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় জেলে পাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল অবস্থা দেখার কেউ নেই.....

মানিক লাল দত্ত,জলঢাকা(নীলফামারী): নীলফামারির জলঢাকার বগুলাগাড়ি বাবুল্লাপাড়ায় ২০০৬ সালে প্রতিস্ঠত হওয়া "বগুলাগাড়ি জেলেপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির বেহাল অবস্থা। শিক্ষার আলো ঘড়ে ঘড়ে পৌছার অঙ্গীকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর। তারই ধারাবাহিকতায় ২০০৬ সালে একজন প্রধান শিক্ষক ও তিনজন সহকারী শিক্ষক নিয়ে সুন্দর পরিবেশে গড়ে ওঠে বিদ্যালয়টির পাঠ্যপরিচালনা । সামান্য পাঠদানের অনুমতি (যার সারক নং ৩৫৬) নিয়ে বিদ্যালয়টির কার্যক্রম শুরু হলেও প্রাথমিক ও গন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যাবতীয় বিধিবিধান মেনে ঝড়ের গতিতে ক্লাস পরিচালনা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু পাশাপাশি অন্যান্য বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করন করা হলেয় কোন প্রকার গতি হয় নি জেলেপাড়ার এই বিদ্যালয়টির। বিদ্যালটির অভূতপূর্ণ সাফল্য আর শান্তিপূর্ণ কার্যক্রম দেখে প্লান ইন্টান্যানাল বাংলাদেশ ২০১৪ সালে উপহাস্বরুপ বিদ্যালয়টিকে ৫০ টি টেবিল প্রদান করেন এবং উপজেলার নির্বাহী অফিসার রাসেদুল হক প্রধান ৫০ টি ব্রেন্জ প্রদান করেন। কিন্তু তারপর থেকে সরকারি কোন নজরদারি না থাকায় বিদ্যালটির বর্তমানে বেহাল অবস্থা। বর্তনানে বিদ্যালয়টির অবস্থা জনতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুকচাদ রায় বলেন,মাত্র ৬০ জন ছাত্র /ছাত্রী নিয়ে আমি বিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করেছি কিন্তু এখন ছাত্র / ছাত্রী প্রায় ১৬০ জন কিন্তু সরকারি কোন সাহায্যে তহবিল না দেবার কারনে কোমলমতি এইসব ছাত্র /ছাত্রী দের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে ক্লাস পরিচালনা করতে হচ্ছে আমাকে তাই আমি আমার উন্নয়নের সরকার জননেত্রী কাছে বিদ্যালয়টি সংস্করণের জোরালো দাবি জানাচ্ছি। এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়টির ম্যনেজিং কমিটির সভাপতি ও সিনিয়র সাংবাদিক মানিক লাল দত্ত বলেন, শুরু থেকে আজ পর্যন্ত বিদ্যালয়টির কার্যক্রম যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে সত্যি তা অসাধারণ কিন্তু বিদ্যালয়টিতে সরকারি কোন নজরদারি ও আর্থিক সগযোগিতা না থাকায় বিদ্যালয়টি আজ মৃত প্রায় যেটা বর্তমানে এই উন্নয়ন বান্ধব সরকার আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে কোনো সাধারন মানুষের কাছে গ্রহনযোগ্য নয় বিশেষ করে এই বিদ্যালয়ের কোমলমতি সাধারণ ছাত্র /ছাত্রী দের মাঝে তো নয়েই। তাই আমি শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের সকল কর্মকর্তাদের বিদ্যালয়টির ওপর একটু নজর দেওয়ার বিশেষ অনুরোধ করছি।