বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট বন্ধ করে দিলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান"

আব্দুল মালেক, নীলফামারী: পানি নিষ্কাশনের রাস্তার কালভার্ট বন্ধ করে দিলেন ৮ নং খুটামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল হক (কবিরাজ)।নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভায় ৪ নং ওয়ার্ড রাজারহাট বাজারের উত্তরে মালেকা বেগম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সংলগ্ন প্রধান সড়কের কালভার্ট বন্ধ করে দেন তিনি। সোমবার সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,২০০১-২০০২ অর্থ বছরের উপজেলা এলজিআরডি এর আওতায় ১ লক্ষ ৮৭ হাজার ২ শত ১৯ টাকা ব্যয়ে একটি কালভার্ট নির্মান করা হয়। এক যুগ ধরে কালভার্টের নিচ দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ফলে এলাকার একটি শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ প্রায় ২-৩ শত পরিবার ও ফসলী জমি বর্ষাকালে বন্যার কবল থেকে রক্ষা পায়। এই কালভার্টের সামনের জমি পৈত্রিক মালিকানা দাবি জানিয়ে মাটি ভরাট করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান। তিনি এলাকাবাসী ও স্থানীয় কাউন্সিলরের বাধা উপেক্ষা করে পেশীশক্তি দেখিয়ে পানি নিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে দেয়। এলাকাবাসী জানায়,আমরা অনেকদিন থেকে দেখে আসি এই দিক দিয়ে পানি যায়। এখন জেনেছি ঐ জমির মালিক চেয়ারম্যান সাহেব। তাই তিনি পেশীশক্তি দেখিয়ে পানির রাস্তা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় কাউন্সিলর বলেন,মেয়র ও আমি বাধা নিষেধ করেছি কিন্তু তিনি কোন কথা শুনেন নি। মেয়র প্রার্থী জিয়াউর রহমান চৌধুরী (জিয়া) প্রতিবেদককে জানায়,আমি বিষয়টি জেনে হতভম্ব হয়েছি। যেখানে বর্ষাকাল এলে কয়েক শত পরিবার ও ফসলী জমি বিনষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সেখানে পানি রোধ করা ঠিক হয়নি। আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি যাতে জনগনের স্বার্থে বিষয়টি নিষ্পত্তি করা যায়। এ ব্যাপারে খুটামারা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল হক বলেন,আমার পৈত্রিক মালিকানা জমিতে আমি মাটি ভরাট করেছি। ওখানে আমি বিল্ডিং করবো।এতে কার পানি, কোন দিক দিয়ে যাবে,না যাবে আমার দেখার বিষয় না। পারলে তারা ইউএনও এবং ডিসির কাছে অভিযোগ দেউক। ওনাদের কী করার আছে করুক। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজাউদ্দৌলা মুঠোফোনে বলেন,চেয়ারম্যান যা করছে তা অন্যায় করছে। আপনারা রিপোর্ট করেন আমি ব্যবস্থা নিবো।