বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় স্কুল খোলার অপেক্ষায় থাকেন শিক্ষার্থীরা

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় এক সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রায় প্রতিনিয়ত বিদ্যালয় খোলার অপেক্ষায় থাকতে হয়। কখন প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষকগন আসবে সেই অপেক্ষায় থাকেন এই কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষর্থীরা। বিদ্যালয়টি হলো সদ্য জাতীয়করণকৃত তালুক গোলনা শিশু কল্যান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই বিদ্যালয়ে কর্মরত ৫জন শিক্ষকের মধ্যে কেউ সময়মত বিদ্যালয়ে উপস্থিত হন না। তবে সকাল ৯টায় বিদ্যালয় খোলার সরকারী নিয়ম থাকলেও প্রতিদিন খোলা হয় অনেক পরে। এ সময় কোমলমতি ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা বই খাতা মাঠে রেখে শহীদ মিনারের উপরে খেলায় মেতে উঠছে। দেড়িতে বিদ্যালয় খোলার কারনে এবং সঠিক সময় শিক্ষক-শিক্ষিকা না থাকার কারনে শিক্ষার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের সকল দরজা বন্ধ, শহীদ মিনারে এবং বারান্দায় খেলা করছেন শিক্ষার্থীরা। খেলারত সকল শিক্ষার্থীরা এ প্রতিবেদককে বলেন,হামরা আপার জন্যে অপেক্ষায় আছি,আপা আসলে স্কুল খুলবে। প্রতিদিন আপারা দেরি করে আসে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেন, সঠিক সময় মত স্কুল খোলা হয়না এবং শিক্ষকরাও আসেন নিজের ইচ্ছা মত। এসময় সংবাদকর্মীর উপস্থিতি টের পেয়ে তরিখড়ি করে এসে বিদ্যালয়ের রুমের তালা খোলেন বিদ্যালয়ের পাশে বসবাসরত সহকারি শিক্ষিকা গীতারানী। বেলা সাড়ে ১০টা বেজে গেলেও গীতারানী ছাড়া প্রধান শিক্ষিকাসহ বাকী ৩ জন সহকারী শিক্ষক ছিল অনুপস্থিত। এদের মধ্যে শুধু একজন চলতি পিএসসি পরীক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন। সঠিক সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত না হওয়ার বিষয়ে একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করার পরেও তারা কোন ব্যাবস্থা গ্রহন করেননি বলে জানান,ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাহানাজ বেগম। অভিযোগের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা সহকারী প্রাধমিক শিক্ষা অফিসার এ.বি.এম মোকতাদির বিল্লাহ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।