বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় মহাজোট এগিয়ে ঐক্য নেই ঐক্যফ্রন্টে


রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকায় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এগিয়ে রয়েছে মহাজোট প্রার্থী মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল (অবঃ)। লাঙ্গল নিয়ে নির্বাচন করলেও তাকে নির্বাচিত করতে বেশ জোরেসোরে মাঠে নেমেছে আওয়ামীলীগ ও জাসদের নেতাকর্মীরা। হিন্দুদেরও ভোট ব্যাংক রয়েছে এখানে। অন্যদিকে ঐক্য নেই ২০ দলীয় জোটের ঐক্যফ্রন্টে। জামায়াতের প্রার্থী আজিজুল ইসলামকে এ আসনে ধানের শীষ দেওয়ায় ও পোষ্টারে খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের ছবি না থাকায় বিএনপির নেতাকর্মীদের মনক্ষুন্ন। তাই জামায়াতের কোন নিবাচনী কার্যক্রমে বিএনপির কোন নেতাকে দেখা যায়নি। তাছাড়া নির্বাচনে জামায়াতের প্ররোচনা শুধু মাইকের মাধ্যমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে এ আসনে মহাজোট প্রার্থী কাজী ফারুক কাদের জামায়াতের বর্তমান প্রার্থী এই আজিজুল ইসলামকে প্রায় ৮২ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেছিল। আগামী ৩০ ডিসেম্বর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ১১ টি ইউনিয়নে ২ লক্ষ ৩৬ হাজার ১৭১ জন ভোটার ৮৯ টি ভোট কেন্দ্রে ব্যালটে সীল মেরে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেচে নিবে। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৪ শত ৪২ ও মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৭ শত ২৯ । এর মধ্যে হিন্দু ভোটার সংখ্যা প্রায় ৫৮ হাজার। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে পোস্টার ব্যানারে ছেয়ে গেয়ে জলঢাকা শহর সহ বিভিন্ন হাট বাজার গুলো। চায়ের দোখানগুলোতে চলছে ভোটের হিসাব নিকাশ। মহাজোটের মেজর রানা মোহাম্মদ সোহেল কে জেতাতে মাঠে নেমেছে আওয়ামীলীগের বর্তমান এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা, সভাপতি আনছার আলী মিন্টু সহ বিভিন্ন সহ সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা। থেমে নেই জাসদের জেলা সভাপতি অধ্যাপক আজিজুল ইসলাম সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী। তারা বিভিন্ন এলাকায় মহাজোটের প্রার্থীকে জেতাতে গণসংযোগ ও প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে সাধারণ মানুষের মাঝে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে লাঙ্গলের পক্ষে। বিশেষ করে তরুন ভোটাররা স্বাধীনতার পক্ষে ভোট দিবে বলে জানিয়েছে। ¯œাতক অধ্যায়নরত রুহুল আমিন বলেন আমরা ইতিহাস থেকে জেনেছি কারা স্বাধীনতার পক্ষে আর কারা বিরোধী আমরা স্বাধীনতার পক্ষেই ভোট দিব। অন্যদিকে দ্বিখন্ডিত বিএনপি, এক পক্ষের পৌর মেয়র ও উপজেলার বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী আর একপক্ষের উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ আলী। তারা জামায়াতের কোন নির্বাচনী কার্যক্রমে উপস্থিত না থাকায় ও পোস্টারে খালেদা জিয়া কিংবা তারেক রহমানের ছবি না থাকায় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর বিএনপির এক নেতা জানিয়েছে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর জামায়াতের সাথে আমাদের বিরোধ। তারা মনে হয় সেটি আজও ধরে রেখেছে। তাই আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার ছবি পোস্টারে দেয়নি। তাই আমাদের নেতারা জামায়াতের নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ গ্রহণ করে নাই। উল্লেখ্য মহাজোট ঐক্যফ্রন্ট ছাড়াও ইসলামী শাসনতন্ত্রের আমজাদ হোসেন সরকার হাত পাখা নিয়ে নির্বাচন করছেন।