বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় বেগম রোকেয়া দিবসে জয়িতা অন্বেষণে কার্যক্রমের আওতায় ৪ নারীকে সংবর্ধনা

আবেদ আলী বিশেষ প্রতিনিধিঃ "সময় এখন নারীর, উন্নয়নেও তারা, বদলে যাচ্ছে গ্রাম- শহরে কর্মজীবন ধারা" এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে নীলফামারীর জলঢাকায় আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ বেগম রোকেয়া দিবস ২০১৮ ইং পালন ও "জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ" শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় চার নারীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। দিবসটি পালন উপলক্ষে এক শোভাযাত্রা পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আলোচনা সভায় মিলিত হয়। রোববার উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ হলরুমে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান ফয়সাল মুরাদ, মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান রিভা আমজাদ, উপজেলা প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, রাবেয়া চৌধুরী মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ বিবেকানন্দ মহন্ত, নির্বাচন অফিসার উজ্জল হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পূরবী রানী রায় ও বিউটিফিকেশন প্রশিক্ষক জেসমিন আক্তার সাথী প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নেই মানবতার উন্নয়ন, অধিকার মর্যাদা নারী - পুরুষ সমানে সমান।

তারা উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদেশ্য করে বলেছেন, আমাদের দেশে প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। আজকে যদি নারীর কথা বলতে যাই তাহলে বলতে হয় অজ্ঞয়ানতা (অন্ধকার) বলে একটা কথা ছিল, সেই অন্ধকার দুর করেছে একজন নারী, তার নাম বেগম রোকেয়া। অবরুদ্ধ, গৃহবন্দী নারী, যে নারীকে এক সময় পর্দার বাহিরে দিনের আলোয় দেখা যেতনা। সেই নারী মুক্তির প্রথম শ্লোগানটি নিয়ে এসেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া আর তারই কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়েছেন আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তার কন্ঠ ছিলো নারীরে দিয়েছি মুক্তি, নর সমঅধিকার, মানুষের যারা প্রাঁচির ভাঙ্গিয়া করিছে একাকার, আধার রাতের বোরকা উঠানি এনেছি আলোর বাতি, আমরা সেই সে জাতি। "জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ" শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় যারা সংবর্ধনা পেলেন তারা হলেন, শেফালী বেগম, শায়লা বেগম শিবানী রানী চৌধুরী ও পেয়ারী বেগম।