বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় নারী নির্যাতন মামলায় পুলিশ সদস্য আটক

ফরহাদ ইসলাম, জলঢাকা, (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় যৌতুক ও স্ত্রী নির্যাতন মামলায় আতিকুর রহমান নামে এক পুলিশ সদস্য আটক হযেছে। গত ২৩ জানুযারী জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এ হাজিরা দিতে গিয়ে আটক হন ওই পুলিশ সদস্য। বর্তমানে তিনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা থানায় বাবুছড়া পুলিশ ফাঁড়ি কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। কনস্টেবল নং-৪৫। বাংলাদেশ পুলিশ নং-৮৮৭১১০৮৬১। মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের মেয়ে রিক্তা বেগমের সঙ্গে পারিবারিক আলোচনার মাধ্যমে বিয়ে হয় গঙ্গাচড়া উপজেলার সর্দারপাড়া এলাকার পশ্চিম কচুয়া গ্রামের এসলাম উদ্দিনের ছেলে পুলিশ সদস্য আতিকুর রহমানের। বিয়ের পর ভালই চলছিল তাদের সংসার। ২ বছর পর তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তানেরও জন্ম নেন। তবে বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই আতিকুর রহমানসহ তার পরিবার যৌতুকের জন্য আরো ৩ লাখ টাকা দাবী করেন। রিক্তার পরিবার সেই দাবী অস্বীকার করায় প্রায় প্রতিনিয়ত রিক্তা বেগমকে শাররিক ও মানসিক নির্যাতন আতিকুরের পরিবার। নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে রিক্তা বেগমের পরিবার কয়েকবার গ্রাম্য শাঁলিস বিচার দেন । তবে আতিকুর রহমান এলাকার প্রভাবশালী ও পুলিশের লোক হওয়ায় গ্রাম্য শাঁলিসকে কোনও প্রতিকার হয়নি। বাধ্য হয়ে রিক্তা গত ৩০/০৭/২০১৮ ইং নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এ আতিকুরসহ ৩(তিন) জনকে আসামী করে (মামলা নং ২৬৮/২০১৮ইং) একটি দায়ের করেন । সেই মামলায় ২৩ জানুয়ারী আসামীগন আদালতে হাজিরা দিতে এলে বিজ্ঞ আদালত ১নং আসামী পুলিশ সদস্য আতিকুর রহমানকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করার আদেশ দেন। জেল হাজতের আটক থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নীলফামারী জেল সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, আদালতের আর্দেশে আতিকুর রহমান ২৩ জানুয়ারী থেকে নীলফামারী জেল হাজতে আছে। এ ব্যাপারে খাগড়াঝড়ি জেলা পুলিশ সুপার আহমার-উজ-জামান বলেন,বিষয়টি আমি শুনেছি,তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।