বিজ্ঞাপন দিন

ডিমলায় বোমারু মেশিন দ্বারা অবৈধ পাথর উত্তোলন প্রশাসন নিরব দেখার নেই কেউ

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যখন ব্যস্ত, তখনই সুযোগ, যে কোন অবৈধ কাজ করা। গত ২০ শে ডিসেম্বর থেকে অবাধে একাধারে চলছে অবৈধ বোমারু মেশিন দ্বারা, সরকারের খনিজ্ব সম্পদ পাথর উত্তোলন কাজ । এইসব বোমারু মেশিন দ্বারা পাথর ও বালু উত্তোলন করতে সরকারী নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও দিনে- দুপুরে ও রাতে আঁধারে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়েই অবৈধ ভাবেই পাথর উত্তোলন করছে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের অসাধু পাথর ব্যবসায়ীরা । পাথর ব্যবসায়ীরা গয়াবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি ও খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের সাথে আতাত করে পাথর উত্তোলন কাজ চালিয়ে যাচ্ছে । যা বাংলাদেশ সরকারের জ্বালানি ও খনিজ্ব সম্পদ মন্ত্রনালয়ের অথবা জেলা প্রশাসনের অনুমোদিত কোন প্রমানাদি দেখাতে পারেনি । ব্যবসায়ীদের দেখা না হলেও, অনুমোদিত কাগজপত্রাদি আছে বলে তাদের (ব্যবসায়ী), কর্মরত শ্রমিকগন জানান । সরেজমিনে গিয়ে জানা দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩০ টিরও অধিক সংখ্যক বোমারু মেশিন দ্বারা জমিনের গভীর থেকে প্রতিনিয়ত প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার পাথর উত্তোলন করে আসছে এইসব ব্যবসায়ীরা । যা সরকারের রাজস্ব আয়ের ফাঁকি দিচ্ছেন তারা। ২০১০ সালের বালু মহল মাটি ব্যাবস্থাপনা আইনে ১০ ধারায় দন্ডনীয় অপরাধ । যা ৫০ হাজার থেকে ১০ লক্ষ টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত হবে, এছাড়াও কারাদণ্ড নির্ধারন করাও আছে এ আইনে । এ নিষেধাজ্ঞা জারি থাকলেও প্রশাসনের চোখ এড়িয়ে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করে আসছে পাথর ব্যবসায়ীরা। পাথর ব্যবসায়ীরা হলেন, টেপা খড়িবাড়ী ইউনিয়নে, ওইসব এলাকার মৃত দেবারু পাটোয়ারীর ছেলে মাজেদ পাটোয়ারী, আজিজার রহমানের ছেলে শাহীন আলম, তমিজ উদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ও মতিয়ার রহমানের ছেলে লুৎফর রহমান, মাজেদুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, পারভেজ, নজরুল মেম্বার, আমিরের ছেলে মজিদুল, আব্দুল করিম, ও মিজান। গয়াবাড়ী ইউনিয়নে, ওহাব মাষ্টার, সামচুল চেয়ারম্যানের ছেলে রাজা, আনারুল, সেলিম, মাজেদ পাটোয়ারী, আইয়ুব চৌধুরী, তৈয়ব চৌধুরী, আলম, ও হাবিব। খালিশা চাপানী ইউনিয়নে, আব্দুল করিম, মেম্বার, দুলাল মাষ্টার, কামরুল ইসলাম ও খোকার ছেলে সহ আরো অনেকে জড়িত আছেন বলে জানা যায়। রবিবার ও সোমবার এ সব এলাকায় সরেজমিনে, ২৫ থেকে ৩০টি বোমারু মেশিন দ্বারা জমিনের গভীর থেকে পাথর উত্তোলন করতে দেখা যায় । এব্যাপারে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুন নাহার এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পুলিশ ও বিজিবির যৌথ অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। এরপরও যদি চলে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।