বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ভোর রাতে অগ্নিকান্ডে পুরে গেল ৫টি বসতবাড়ি

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা সংবাদদাতা : নীলফামারীর জলঢাকায় এক গ্রামে ভোর রাতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৫টি বসতবাড়ী মহুর্তে আগুনে পুরে ছাই হয়ে গেছে। এতে পরিবারগুলোর লোকজন সবকিছু হারিয়ে সর্বহারা হয়েছে।এই মানুষগুলোর আহাজারীতে আকাঁশ পাতাল ভারী হতে শুরু করেছে। সরেজমিনে জানা যায়,৯ ফেব্রুয়ারি রাত প্রায় ৩টা ৪৫মিনিটে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড উত্তর গাবরোল হাজী পাড়ার সাংবাদিক রাজ এর বাড়ির পাশের ৫টি বসতবাড়ি পুরে ছাই হয়েছে।সাংবাদিক রাজ ঘুম থেকে জেগে দেখে আগুন তাৎক্ষনিক সে স্থানীয় উপজেলা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। এবং স্থানীয়দের সাথে নিয়ে আগুন নেভাতে আপ্রান চেষ্টা চালায়। তাদের চেষ্টায় বাকী বাড়িগুলো রক্ষা পায়।এসময় আগুন নেভাতে গিয়ে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।আহতরা হলেন,দৈনিক প্রথম ভোর জলঢাকা উপজেলা প্রতিনিধি ও স্থানীয় বাসিন্দা রবিউল ইসলাম রাজ,মৃত আমিনুর রহমানের ছেলে দোদুল ইসলাম,নিরাশা মামুদের ছেলে মিজু আহম্মেদসহ আরও ৪/৫ জন।ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর হলো,মফিজ উদ্দীনের ছেলে ইলিয়াজ মাহমুদ (৩৫),তজলিম উদ্দীন (৩৮),মফিজ উদ্দীনের স্ত্রী এজিয়া বেগম (৬৫),কালু মামুদের ছেলে কানছিয়া মামুদ (৩৫) ও কালু মামুদের স্ত্রী সালেহা খাতুন (৬২)। এ ঘটনায় ৫ পরিবারের ক্ষতির পরিমান প্রায় লক্ষাধিক টাকা। এলাকাবাসির ধারনা,বিদ্যুৎ এর মিটার থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এসময় ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে রওনা দিলেও রাস্তার ত্রুটির কারনে গাড়ি সরেজমিনে উপস্থিত হতে পারে নি। এদিকে একে একে বসতবাড়ি পুরতে থাকে। এসময় সাংবাদিকের কৌশলে তাৎক্ষনিক একটি অটো চার্জার ভ্যান ফায়ার সার্ভিসের গাড়ীর কাছে পাঠিয়ে দেয়। এরপর চার্জার ভ্যান যোগে ফায়ার সার্ভিসের সরন্জাম নিয়ে আসলে আগুন পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রনে আসে।ততোক্ষনে ৫টি বসতবাড়ি পুরে গেছে। উপজেলা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মমতাজুল ইসলাম এসময় বলেন,সাংবাদিক রাজ এর মুঠো ফোনে খবর পাওয়া মাত্র আমাদের একটা ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্য রওনা দেই। কিন্তু রাস্তার ত্রুটিজনিত কারনে অর্ধেক কিলোমিটার দুরে গাড়ি রেখে অটো চার্জার ভ্যান যোগে শ্যালো মিশিনসহ প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে বাকী আগুন নিয়ন্ত্রনে আনি।ঘরের বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে এই আগুনের সুত্রপাত হতে পারে। এসময় এস.আই. নিসার আলী নেতৃত্বে পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এব্যাপারে এস আই নিসার আলী বলেন,সাংবাদিকের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখি ৫টি পরিবারের সবকিছু পুরে গেছে। তবে রাস্তা ভালো থাকলে আমরা আরও আগে আসতে পারতাম। রাস্তায় আমাদের ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী আটকা পড়ায় অর্ধেক কিলোমিটার রাস্তা হেটে আসতে হয়েছে।