বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ঠিকাদারের অবহেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত-৩

জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অবহেলায় রাস্তা চলাচলের সময় দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ৩ জন পথচারী। আহতের উদ্ধার করে জলঢাকা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি কারান স্থানীয়রা। সরজমিনে খোঁজ নিযে জানা যায়, আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে জলঢাকা পৌর শহরের কৈমারী রোড থেকে কৈমারী বাজার পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারে মাটি ভটার ও ৪ টি ইউড্রেন এর কাজ পান মেসার্স তহিদুল এন্টার প্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রাস্তার দুই ধারে মাটি ভরাটের কাজ নিজেই করেন ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। অপর ইউড্রেন ৪ টি সাব-কন্টাকে কাজ শুরু করেন গাবরোল এলাকার ফয়জুল ইসলাম। নিয়ম অনুযায়ি রাস্তার কাজ চলাকালিন সময়ে কাজের স্থান থেকে ৩শ গজ দুড়ে একটি সংকেত সাইনবোর্ড দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তা মানেননি ফইজুল ইসলাম। সংকেত সাইনবোর্ড না থাকায় শুক্রবার ভোরে একটি অটো রিকশা ইউড্রেন স্থাপন করার গর্তে পড়ে গিয়ে চালকসহ ২ জন গুরুতর আহত হন। আাহতরা হলেন,কৈমারী ইজারদার পাড়ার মমতাজ আলীর ছেলে মতিউর রহমান(৫৭),আব্দুস সোবহানের ছেলে শরিফুল ইসলাম(৫৫),অটো চালক পৌরশহরের কদমতলী হাজ্বীপাড়া এলাকার মৃত্যু হাছি মামুদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৮)। পরে স্থানীয়রা আহতের উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্য্রে নিয়ে আসেন। সংকেত সাইনবোর্ডটি না থাকার কথা স্বীকার করেন সাব-কন্টাকটার ফয়জুল ইসলাম। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লিটন ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান,“ আমি ফয়জুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলে দেখি”। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার হারুন-অর-রশিদ এ প্রতিবেদককে বলেন,“রাস্তার কাজের সময় অবশ্যই সতর্ক সাইনবোর্ড দেওয়া উচিৎ,আর মানুষ আহত হয়েছে তাদের চিকিৎসা দেওয়া উচিৎ।” তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আহতের কোন সহযোগিতা করা হয়নি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।