বিজ্ঞাপন দিন

"আনন্দ-উৎসবে বার্ষিক বনভোজন করলো জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা প্রতিনিধি: বনভোজন বলতে আনন্দ-উৎসব সহযোগে বনে কিংবা বাড়ীর বাইরে খাবার ভোজন করাকে বুঝায়।এক কথায়, মনোরম ও সুন্দরতম স্থানকেই বনভোজনের জন্য নির্বাচিত করা হয়। তন্মধ্যে পার্ক বা উদ্যান, হ্রদ কিংবা নদীর কিনারের মতো চিত্তাকর্ষক স্থানকেই প্রাধান্য দেয়া হয়। এছাড়াও, জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানও বনভোজনের জন্য আদর্শ স্থান। এমনী একটি স্থান বাছাই করে নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরে বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করেছে নীলফামারীর জলঢাকা রিপোটার্স ইউনিটি। 'খবরের বাহিরে,একদিন'। শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারী) উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় তেতুলিয়ায় অবস্থিত চা বাগান,ভুটান ও নেপালের বাস বাগান,ভারতের শিলিকুড়ি ব্রিজ দর্শন ও বাংলাদেশের সীমান্ত বাংলাবান্ধা জিরোপয়েন্ড দৃশ্যপট ভাগাভাগি করে আনন্দ ও উৎস করলো সাংবাদিক পরিবারের সদস্যরা। বনভোজনের আনন্দে হারিয়ে গিয়েছিল দেশের বিবেকবান পেশাজীবি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। বনভোজনে রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরাও অংশ নিয়েছিলেন। বনভোজনকে ঘিরে সকাল ৯টায় বাস গাড়ি বহরে তেতুলিয়া পিকনিক স্পট অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করে। নবীন-প্রবীন সকলের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল পিকনিক স্পট।রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মিত্তুন রায় জানান,‘প্রায় শতাধিক মানুষের আয়োজন করা হয়েছে এবারের বনভোজনে। সবাই ঘুরছে, মজা করছে, গান বাজনা উপভোগ করছে। এটাই আনন্দ।’ তিনি জানান, দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে। এবং ২৫ ফেব্রুয়ারী সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা সহ জনসাধারনের জন্য লাকী কুপনের ট্র অনুষ্টিত হবে। সকলের জন্য লাকী কুপনের টোকেন সংগ্রহ অব্যাহত আছে। এবারের পিকনিকটি ছিলো বিগত বছরগুলোর তুলনায় বেশ উপভোগ্য এমনটাই জানালেন রিপোর্টার্স ইউনিটির অধিকাংশ সদস্যবৃন্দ।এতে ছিলো নানা আয়োজন,সাংবাদিক ও সহধর্মীনিদের জন্য লাকী কুপনের মাধ্যমে বিভিন্ন রকমের পুরস্কার বিতরণ। গ্রামীণ ঐহিহ্যের ছোঁয়া ছিল প্রতিটি ইভেন্টে। শিশুরা বিনোদনের জন্য পেয়েছে আনন্দের এক ভিন্ন জগত। বড়রাও যেন খুঁজে পেয়েছিলেন তাঁদের শৈশব। আনন্দের একেকটি মুহূর্ত, সেলফি তোলা আর ফেসবুকে তা পোস্ট করার হিড়িক। রিপোর্টাস ইউনিটির সাধারন সম্পাদক শাহজাহান কবীর লেলিন বলেন, বছরজুড়ে টানা কাজে ক্লান্ত শ্রান্ত একঘেঁয়েমি ও সাংবাদিকদের সুসম্পর্ক বজায় রাখতে প্রতি বছরই বনভোজনের আয়োজন করে থাকি। সারাবছর এ দিনটির জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে সকল সদস্য। জলঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সকল সদস্য ও তাদের পরিবার-পরিজনের অংশগ্রহণে আনন্দমুখর হয়ে উঠেছিল এবারের বনভোজন। একদিনের আনন্দ উল্লাসের মুহূর্তেই কেটে যায় বছরজুড়ে লেগে থাকা ক্লান্তির ছাপ। বনভোজনের আনন্দ শেষে নতুন উদ্যমে আবারো শুরু হবে প্রতিমহুর্তের খবরা-খবর নিয়ে কর্মব্যস্ততা। বনভোজনে অংশগ্রহনকারী সাংবাদিক পরিবাররা হলেন,রিপোটার্স ইউনিটির সহ-সভাপতি মোশফেকুজ্জামান মিটুল চৌধুরী,সদস্য ও দৈনিক যুগের আলো ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি শাহজাহান বাদশা,জলঢাকা নিউজ অন-লাইন পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক বজলুর রশীদ,দৈনিক দাবানলের প্রতিনিধি নাসিমুজ্জামান নাদির,দৈনিক বর্তমানের জলঢাকা প্রতিনিধি রাশেদুজ্জামান সুমন,বাংলাদেশ খবর জলঢাকা প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী ডলার,দৈনিক ভোরের কাগজের প্রতিনিধি কৃষ্ণ চন্দ্র রায়,নতুন স্বপ্নের জুয়েল শাহ,প্রচার সম্পাদক ও সাম্প্রতিক দেশকাল জলঢাকা প্রতিনিধি এরশাদ আলম,ক্রিয়া সম্পাদক ও দৈনিক প্রথম ভোর জলঢাকা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রাজ,দপ্তর সম্পাদক ও আমার সংবাদ জলঢাকা প্রতিনিধি ফরহাদ ইসলাম,সদস্য ও বাংলাদেশ সমাচারের মশিয়ার রহমান প্রমূখ