বিজ্ঞাপন দিন

উপজেলা নির্বাচনে নীলফামারীতে ১৬ জনের মনোনয়ন বাতিল বিনা প্রতিনন্দিতার অপেক্ষায়-২

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ উপজেলা পরিষদের তিনটি পদে নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে আজ মঙ্গলবার(১২ ফেব্রুয়ারী) নীলফামারীর ছয় উপজেলায় ১৬ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। গত সোমবার (১১ ফেব্রুয়ারী) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ওই তিন পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিল ৭৪ জন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩১ জন ও সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২১ জন প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাছাই বাছাইয়ের পর ওই তিনপদে এখন বৈধ প্রার্থী থাকলো চেয়ারম্যান পদে ২০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন, সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যানে ১৬ জন। এতেই জানা যায় জলঢাকা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আঃলীগ প্রার্থী আনছার আলী মিন্টু ও নীলফামারী সদর উপজেলার সংরক্ষিত নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আরিফা সুলতানা লাভলীর কোন প্রতিদ্বন্দি থাকলো না । তারা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়ার সময় পর্যন্ত, নির্বাচনের অপেক্ষায় থাকতে হবে । তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা আপিল করার ঘোষনা দিয়েছে। 

এদিকে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন জলঢাকা উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর এবং নীলফামারী সদর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সাদিক হোসেন নয়ন। সদ্য সরকারী হওয়া জলঢাকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত থাকায় আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের এবং ভোটারের তথ্য ত্রুটির কারণে সদরে সাদিক হোসেন নয়নের মনোনয়ন মনোনয়ন বাতিল হয়। গত ২০১৮ সালে ১৩ সেপ্টেম্বর ৩৭.০০.০০০০.০৭১.০০৩-১১৭১ নং স্মারকে রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে উপসচিব লুৎফুন নাহার এর স্বাক্ষরিত দেশের বিভিন্ন জেলায় ৪৪টি বে-সরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে জলঢাকা মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়টিও জাতীয়করনের জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় । বর্তমানে তিনি (বাহাদুর) সরকারি চাকরিজীবি হওয়ায় চেয়ারম্যান পদের মনোনয়নটি বাতিল করেছে জেলা রিটায়ার্ড কর্মকর্তা । এ বিষয়ে জলঢাকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান সরকারী হলেও শিক্ষক সরকারীকরণ হয়নি। বেসরকারী এমপিওভুক্ত নীতিমালায় আমি বেতন উত্তোলন করছি। এ কারণে আমার মনোনয়ন বাতিলের কোন যুক্তি নেই। এবিষয়ে আমি আপিল করবো। সংসদ নির্বাচনে আমার মনোনয়ন বৈধ হয়েছিল। অপরদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্রে ভোটারের তথ্য ত্রুটির কারণে বাতিল হওয়াদের মধ্যে রয়েছেন নীলফামারী সদরে দীপক চক্রবর্তী, রফিকুল ইসলাম, কিশোরীগঞ্জে ভুবন চন্দ্র মোহন্ত, আশিক আলী, রবিউল ইসলাম, হাফিজুল ইসলাম, রহিদুল ইসলাম, ইদ্রিস আলী ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা পেশায় থাকায় ডোমারের আব্দুল মালেক এবং রনজিৎ রায়। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোটারের তথ্য ত্রুটিতে সদরে সান্তনা চক্রবর্তী, জেসমিন আক্তার সাথি, ডিমলায় জাহানারা বেগম, কিশোরীগঞ্জে শিল্পী রাণী ও এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা পেশায় থাকায় ডোমারে রওশন কানিজের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। 

যাচাই বাছাইয়ে বাতিলের পর প্রার্থী রইলেন সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ২জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১জন। ডোমার উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান ২জন। ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন। জলঢাকা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন। কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন। এবং সৈয়দপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন। আজ মঙ্গলবার যাচাই বাছাই শেষে সন্ধ্যায় রির্টানিং কর্মকর্তা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আজাহারুল ইসলাম ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম চেয়ারম্যান পদে ২, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের মনোনয়ন বাতিলের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আপিলের সুযোগ আছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ।