বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ধানের দাম কম হলেও ইরি-বোরো চাষের ধুম পড়েছে

রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকায় কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলেও ইরি-বোরো আবাদে ধুম পড়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠান্ডাকে উপেক্ষা করে মাঠে চারা লাগানোর কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। কৃষি অফিস জানিয়েছে এবার ১৪ হাজার ৮ শত হেক্টর জমিতে ইরি-বোরোর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ধানের দাম কম তারপরেও অন্য কোন কর্ম না থাকায় ইরি-বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এদিকে ১৫ দিনের ব্যবধানে ধানের দাম মণ প্রতি ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে। বর্তমানে প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে। বালাগ্রামের কৃষক কাজি বছির উদ্দিন জানান, ইরি-বোরোর মৌসুম শুরু হয়েছে। কামলা নেই তাই নিজেই বীজতলা উঠিয়ে জমিতে রোপন করব। এদিকে ধানের দামও নেই। তারপরও আবাদ করছি। কাঁঠালীর কৃষক জুয়েল শাহ জানান, শ্যালো মেশিন দিয়ে সেঁচ দিয়ে জমিতে চারা লাগিয়েছি। আমন ধান এখনও বিক্রি করতে পারিনি কম দামের কারণে। বাপ-দাদার পেশা এই কৃষি কাজ করে সংসার চালাই অন্য কোন কাজ না জানার কারণে। ধান ব্যবসায়ী হামিদুল ইসলাম জানান, ১৫ দিন আগে ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা দরে ধান কিনেছিলাম এখন প্রতি মণ ধান কিনছি ৫৬০ থেকে ৫৮০ টাকা দরে। হঠাৎ করে কেন যে দাম পড়ে গেলো। উপজেলা কৃষি অফিসার শাহ মুহাম্মাদ মাহফুজুল হক জানান, এবার ইরি-বোরোর লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৮ শত হেক্টর। অর্জিত হয়েছে প্রায় ৬ হাজার হেক্টর। ১৫ দিনের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে আশা করছি। এ অঞ্চলে সাধারণত ব্রি-ধান ২৮-২৯-৭৪-৭১, হাইব্রিড সিনজেন্টা ১২০৫-১২০২-১২০৩-১২০৪, এসিআই ইস্পাহানী সোনার বাংলা সহ বিভিন্ন জাতের ধান আবাদ করা হয়। ডিসেম্বরের শেষ থেকে ফ্রেবুূয়ারীর শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ধান লাগানোর মৌসুম। ৪ থেকে সাড়ে ৫ মাসের মধ্যে ধান কাটা যায়।