বিজ্ঞাপন দিন

ভক্তদের চকলেট বিতরণ মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে এনেছি জলঢাকায় কর্মী সমাবেশে --- বাহাদুরের

আবেদ আলী বিশেষ প্রতিনিধিঃ আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নীলফামারীর জলঢাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় যুবলীগ সদস্য ও সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইসচেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেছেন, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য আমার বিরুদ্ধে নানান ভাবে স্বরযন্ত্র করা হয়েছে। আজ আমি এই নির্বাচনী এলাকার আশাহত মানুষের ভোটের অধিকার ফিরে এনেছি। যাতে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারেন। মঙ্গলবার বিকেলে আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরকে তার কর্মী সমর্থকরা সৈয়দপুর থেকে মটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে জলঢাকায় নিয়ে আসলে তিনি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট এবং দোয়া চেয়ে তার কার্যালয়ের সামনে কর্মী সমাবেশে মিলিত হন। এদিকে বাহাদুরের প্রার্থী বৈধতার খবর পেয়ে ভক্তদের সারা শহরে চকলেট বিতরণ করতে দেখা গেছে। নীলফামারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি জলঢাকা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর কাগজপত্র যাছাই বাছাইকালে চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টুর প্রার্থীতা বৈধ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুরের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা উজ্জ্বল হোসেন বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর সরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করার জন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করলে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বৈধতা ফিরে পান। অন্যদিকে ভাইসচেয়ারম্যান পদে ৬জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ ঘোষনা করেন নির্বাচন অফিস। এর মধ্যে ৪জন পুরুষ ও ২জন মহিলা। ভাইসচেয়ারম্যান পদে বৈধ প্রার্থী (পুরুষ) উপজেলা জাতীয়পাটির সাধারন সম্পাদক মমিনুল ইসলাম মঞ্জু, উপজেলা জাসদ সভাপতি গোলাম পাশা এলিচ, উপজেলা শ্রমিকলীগের সাধারন সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম ও স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারন সম্পাদক মশিউর রহমান বাবু এবং মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-সভাপতি মনোয়ারা বেগম ও জামায়াত সমর্থিত বর্তমান ভাইসচেয়ারম্যান রিভা আমজাদ। এবারে পাঁচ ধাপে ৪৯২টি উপজেলার মধ্যে ১০ মার্চ প্রথম ধাপে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের ৮৭ উপজেলায় ভোট হবে বলে জানাগেছে।