বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে চান্দখানা জিআর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ


রতন কুমার রায়-ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ-নীলফামারীর ডোমার উপজেলার কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের চান্দখানা জিআর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার ওই পদে প্রকৃত আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে প্রক্সি পরিক্ষার্থীদের দিয়ে নিয়োগ পরিক্ষা সম্পন্য করেছে বিদ্যালয় কতৃপক্ষ। জানা গেছে, চান্দখানা জিআর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে ৬জন প্রার্থী আবেদন করেন।এরা হলেন-আব্দুর রাজ্জাক ডাকুয়া,শহিদুল আলম,আমিনুর রহমান, গোলাম মরতুজা,আলতাফ হোসেন ও শহিদুল হক বাদশা।এর মধ্যে শহিদুল হক বাদশাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক রেজওয়ানুল কবির ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুজিবুল হক প্রামানিক গোপনে মোটা অংকের টাকা নিয়ে উল্লেখিত আবেদনকারীদের বাদ দিয়ে প্রক্সি প্রার্থী আব্দুল মোতালেব,জাহিদুল ইসলাম,অলিয়ার রহমান ও শহিদুল হক বাদশাকে দিয়ে নিয়োগ পরিক্ষায় অংশ নিয়ে পরীক্ষা সম্পন্য করেন।এছারাও নিয়োগ কমিটির ৫সদস্যের মধ্যে পূর্ববর্তী অভিভাবক সদস্যকে বাদ দিয়ে তাদের মনগড়া ভানুরানী নামে একজনকে অভিভাবক সদস্য হিসেবে নিয়োগ কমিটিতে অর্šÍভূক্ত করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আবেদনকারী এক শিক্ষক জানান,শহিদুল হক বাদশাকে নিয়োগ দেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সকল প্রক্রিয়া আগেই সম্পন্য করেন। তাই আমি পরীক্ষায় অংশ নেইনি। এ বিষয়ে ডিজির প্রতিনিধি ডোমার সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হামিদুর রহমান জানান, নির্দেশনা মোতাবেক আমি ৪জনের কাগজ পত্র যাচাই করে লিখিত পরিক্ষা নিয়েছি। বিদ্যালয় কতৃপক্ষ কিভাবে কি করেছে আমি বলতে পারবোনা। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকেরিনা বেগম জানান,আমি নিয়োগ পরীক্ষা নেয়ার জন্য ডোমার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে যাই।সেখানে কয়েক যুবক সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নিয়োগ পরিক্ষা বন্ধ রাখতে বলে। পরে তারাই পরিক্ষা নেয়ার কথা বলে চলে যায়। পরে লিখিত এবং মৌখিক পরিক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অভিভাবক সদস্য পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন,এর আগে নিয়োগ পরিক্ষার তারিখ ঘোষনা হলে পূর্ববর্তী সদস্য উপস্থিত ছিলেন না ফলে পরবর্তীতে তাকে বাদ দিয়ে নতুন অভিভাবক সদস্য নিয়েছে ম্যানেজিং কমিটি।নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে আমি বিব্রতকর অবস্থায় পরেছি। এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মজিবুল হক প্রামানিক ও প্রধান শিক্ষক রেজওয়ানুল কবিরকে কয়েকবার মোবাইলে ফোন দিলেও তারা মোবাইল ফোন রিসিভ করেনি।