বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় স্কুলের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দিলেন সভাপতি

রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকায় নেকবক্ত দ্বি-মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাইয়ে নি¤œ মানের সামগ্রী ব্যবহার করায় কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের প্রায় ৭৭ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিক ব্যয়ে ২য় ও ৩য় তলা ভবনের নির্মাণের কাজ পেয়েছিল মেসার্স মহসেনা এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ৩য় তলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ নিজের ইচ্ছামত চালাচ্ছিল ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি। সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে স্থানীয় নদী থেকে তোলা নি¤œ মানের বালু, নেট না করে ৩য় শ্রেনীর ইটের খোয়া ইত্যাদি। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন ছাত্র/ছাত্রীরা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিকে অবগত করলে তিনি তাৎক্ষনিক ভাবে ছুটে আসেন এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দেন। সূত্র জানায়, এ কাজে বালু ব্যবহারের কথা ছিল ১.৮ থেকে ২.২ (এফএম), ইটের খোয়া ২৪শত (পিএসআই) ব্যবহারের কথা সিডিউলে উল্লেখ থাকলেও কর্তৃপক্ষের পরীক্ষায় শুধু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। এ নিয়মনীতি কোনটাই মানছেন না ঠিকাদারের লোকজন বলে অভিযোগ করেছেন, ওই প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম মুকুল। তিনি বলেন, আমাদের দীর্ঘদিনের আশা ছিল এ প্রতিষ্ঠানে একটি বহুতল বিশিষ্ট্য ভবন হবে। সে আশা পূরন করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যে নি¤œ সামগ্রী দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ চলছে, তা- যে কোন সময়ে ভেঙ্গে পড়তে পারে। তাই আমি নতুন সামগ্রী না আনা পর্যন্ত ঢালাইয়ের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।’ মেসার্স মহসেনা এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুল আলম সাংবাদিকদের জানায়, ‘সভাপতি কাজ বন্ধ করেছে আমার ভাল হয়েছে’, ডিপার্টমেন্ট একটি টাকাও আমাকে দেয়নি এবং এটার ফান্ডও নেই। দুই বছর পরে এ কাজ হবে। উপ-প্রকৌশলী লতিফুর রহমান জানান, বালু কিছুটা নি¤œ মানের ও খোয়া নেট না করার কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।