বিজ্ঞাপন দিন

নিজ পরিচয়ে সারাবিশ্বে ও স্বদেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা

নজরুল ইসলাম তোফা: মানুষের মূল্য এবং সর্বোচ্চ মূল্যায়ন করাটা তাঁর বংশ পরিচয়ে নয়, কর্মেই তাঁর পরিচয়। তাঁর জন্মগ্রহণ যেখানে বা যে বংশেই হোক কর্মের মানদণ্ডে সেই মানুষকে 'শ্রেষ্ঠত্ব কিংবা নীচুতা’ নির্ণীত করা হয়। জন্ম গত সূত্রেই যেন এক একজন মানুষ তাঁর আসল পরিচয় নির্ণয় করতে চায়, বলতে চাই যে, তাঁর প্রকৃত পরিচয় নিজস্ব কর্ম-কান্ডেই যেন হওয়া উচিৎ। তাঁর মহৎ কার্যাবলির জন্যেই সকলের প্রসংশা অর্জন করতেই সক্ষম হবে। যুগে যুগে এমন ভাবেই গুরুত্বপূর্ণ বহু গুনীব্যক্তির আবির্ভাব ঘটেছে।তাঁরা সকলের কাছেই একজন মহৎ মানব বা ব্যক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। পৃথিবীতে যারা মহান, যারা স্মরণীয় এবং বরণীয় ব্যক্তি তাঁরা কখনো বংশ মর্যাদার বড়াই দেখিয়ে বড় হন নি। সেই পরিচয় বহু জনের হয়তোবা থাকতেও পারে। কিন্তু তাঁরা নিজস্ব কর্মগুনে সফল ব্যক্তি হয়েছে। সমগ্র পৃথিবীর মানব হৃদয়ে তাঁরা নিজ আসন স্হায়ী করেছে। কিন্তু, যদি তেমন যোগ্য ব্যক্তি আবার নারী হয় তো কথা গুলো একটু অমসৃণ পথ ধরে অগ্রসর হবে। নারীদের মান- মর্যাদা, আজকের সমাজের পুরুষরা একটু আলাদা আঙ্গিকে অর্থাৎ কটাক্ষের দৃষ্টিতেই দেখে। এই জগৎ-সংসারে নারীদেরকে যুগে যুগেই সবচেয়ে আলোচিত বা কটূক্তিপূূূর্ণ একটি প্রাণী হিসেবেই গন্য করা হয়েছে। এই ধরণের কথা বলে ছিল ভার্জিনিয়া উলফে। তিনি নিজে কিংবা নারী সমাজদের জন্যেই একটি নিজস্ব কক্ষ চেয়েছিল, কিন্তু তা পাননি। সেই নারীর এমন ধারার আলোচনাতেই তাঁর পতিপক্ষের সবাই অংশ নিলেও শুধু মাত্র যার সম্পর্কেই অনেক গভীর আলোচনা, সে নারীকেই অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষ কোনো সুযোগ দেওয়া হয়নি। বলতেই হচ্ছে, এ পতিপক্ষটির নাম পুরুষ, নিজের বানানো অলীক বিধাতার পার্থিব প্রতিনিধি, আর পুরুষমাত্রই অনেক প্রতিভাবান ব্যক্তি, আবার- কেউ কেউ তাঁর বিধাতার চেয়েও নাকি বহু প্রতিভা-দীপ্ত। এমনই কিছুসংখ্যক- অন্ধ ও বধির, দালাল কিংবা দার্শনিক, লম্পট এবং ঋষি, কবি ও কামুক, বালক এবং বৈজ্ঞানিক, পাপী কিংবা প্রেমিক পুরুষরা অংশ নিয়ে ছিল এমন নারী সম্পর্কে অন্তত একটি- "নেতিবাচক শ্লোক" রচনায়। কিন্তু এ ধরনের ‘শ্লোক’ আসলেই অশ্লীল আবর্জনার মতো। এই প্রতিপক্ষ কিংবা পুরুষ জাতিরাই কখনো কারো মূল্য বা অধিকারকে কখনই স্বীকার করে না। এমন কি নারীদের অস্তিত্বই স্বীকার করে না অনেক সময়। তাই এমন পুরুষরা নারী সমাজ সম্পর্কে বেশ কয়েক হাজার বছর ধরেই যেগুলো অশোভন শ্লোক রচনা করেছে, তার অনেক বিধি বিধান সবটাই যেন সন্দেহজনক এবং আপত্তিকর। বলতেই হচ্ছে পুরুষ নারীকে দেখে দাসীরূপে, করেও রেখেছে দাসী; তবে স্বার্থে এবং ভয়েই কখনো সখনও মহিমাকীর্তন করে দেবী রূপে। এমন চতুর এই ‘পুরুষ’ নামধারী আজব প্রাণী, তারা নারীদের এমন নিন্দায় যত সামান্য সত্য বা সামাজিক ভাবে মূল্যায়ন করলেও পর্বতীতে যেন মহিমা কীর্তন ছেড়েই সু-পরিকল্পিত ভাবেই প্রতারণা করে। যুগে যুগেই পুরুষরা সাধারণত প্রতারণা ক’রে এসেছে নারী সমাজকে। সুুতরাং একটি কথা বলতে হয়, নারীরা কখনই কোনো- 'দুর্বল মানুষ' নয়। কেউ নারী হয়ে জন্মায় না। সমাজ একটি মানব শিশুকেই ধীরে ধীরে নারীতে পরিণত করে। শৈশবে তাদেরকে হাজারো নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হতে হতেই হয় নারী। পারিবারিক ও সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে নারীরা নিজেই নিজেকে- 'অবলা' ভাবতে শিখে। নারীর মন এবং মননের বিকাশের জন্য শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। নারীদেরকে “সু-শিক্ষায় শিক্ষিত’ হয়ে স্বাবলম্বী হতে হবে, তাদের কারো উপর নির্ভরশীল হয়ে বেঁচে থাকার মতো দুর্বিসহ বা অসহায় জীবন আর নেই। সুতরাং এই নারীকে ভাঙতে হবে তার শৃঙ্খল। মানুষ হিসেবে মূল্যায়ন কিংবা একটি সম্মান জনক জীবন নারী হয়েও অর্জন করতে হবে। তাই- “শেখ হাসিনা” অক্লান্ত পরিশ্রম করে যোগ্য ও সফল মানুষ হিসেবে নিজে যেমন বাঁচার অধিকার সৃষ্টি করেছে। সে ভাবে রাষ্ট্রের সকল নারীসমাজেরও নিশ্চিত করবার চেষ্টা করেছে। জানা দরকার তা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ব্রিজপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়, জাপানের ওয়াসেদা বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কটল্যান্ডের অ্যাবারটে বিশ্ববিদ্যালয় এবং ভারতের বিশ্বভারতী ও ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় বা অস্ট্রেলিয়ার-ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বা ব্রাসেলসের বিশ্ব বিখ্যাত-ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাশিয়া’র- পিপলস ফ্রেন্ড-শিপ বিশ্ববিদ্যালয় ও স্টেট ইউনিভার্সিটি অব পিটার্সবার্গ বা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর সহিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেন তাঁকেই সম্মান সূচক ‘ডক্টরেট ডিগ্রি’ প্রদান করেছে।তাছাড়া ফ্রান্সের ডাওফি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁকে ডিপ্লোমা প্রদান করেছে। শান্তি প্রতিষ্ঠা বা গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্যেই বিশ্বের বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন ডিগ্রি এবং পুরস্কার প্রদান করেছে। তিনি বলেন, নারীরা অর্জন করে সমাজকে দেখাতে শুরু ক