বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না জোড়া লাগানো শিশু লাবিবা লাবিশার

রাশেদুজ্জামান সুমন, জলঢাকা, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারী জলঢাকায় অর্থের অভাবে চিকিৎসা হচ্ছে না ক্লিনিকে জন্ম নেওয়া যমজ জোড়া লাগানো কন্যা শিশু লাবিবা লাবিশার। ডাক্তার বলেছে অতিদ্রুত ঢাকায় নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করার। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের। সেই অর্থ জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে ঢাকার সাভারে কর্মরত গার্মেন্টস শ্রমিক লাল মিয়ার। তার বাড়ী উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের যদুনাথ পাড়ায়। লাল মিয়া জানায়, “প্রথম সন্তান জন্ম নিবে সেই খুশিতে ছুটি নিয়ে বাড়ীতে এসে স্ত্রী মনুফাকে গত ১৫ এপ্রিল মঙ্গলবার উপজেলার স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করাই। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিষয়টি জটিল ভেবে রংপুর মেডিকেল কলেজে রেপার্ট করে। অর্থাঅভাবে গার্মেন্টস শ্রমিক তার স্ত্রীকে রংপুরে না নিয়ে স্থানীয় ডে-নাইট ক্লিনিকে অপারেশন করানো হয়।” এতে করে জন্ম নেয় কোমড়ে জোড়া লাগানো দুই কন্যা শিশু লাবিবা লাবিশার। সেখানকার চিকিৎসক শিশুর অভিভাবকদের বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে। ধার-দেনা করে রংপুর মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে দুই দিন রাখার পর ডাক্তাররা তাদেরকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু লাল মিয়ার টাকা না থাকার কারণে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয় নি। তাই বাধ্য হয়ে লাবিবা লাবিশাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। জোড়া লাগা শিশুর মা মনুফা বেগম জানায়, বাচ্চা দুইটির প্রসাব ও পায়খানার রাস্তা একটি। কোমরে জোড়া লাগানো রয়েছে। ডাক্তাররা শিশু দুইটিকে ঢাকায় নিতে যেতে বলেছে। এবং সেখানে চিকিৎসা করালে অনেক ঢাকার দরকার। আমরা বাড়ীতে এনে এদের চিকিৎসা করাতে পারছিনা। ঢাকায় নিয়ে যাব কিভাবে। তাই আপনাদের মাধ্যমে (সাংবাদিক) প্রধানমন্ত্রী ও সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের সহায়তার জন্য স্বনিরবন্ধ অনুরোধ করছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রর আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার তাহের জানান, ঢাকা পিজি হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া লাবিবা ও লাবিশার চিকিৎসা অন্য কোন খানে হবে না। এ চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। বাচ্চা দুইটিকে দেখার জন্য উৎসুক মানুষের ভীড় চলছে।