বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে স্ত্রী উদ্ধারে সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে হাফিজুল ইসলাম নামের এক যুবক

রতন কুমার রায়-ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমারে ১৩বছর সংসার করার পর স্ত্রী উদ্ধারে সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ছে হাফিজুল ইসলাম নামের এক যুবক। স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্দকে ঘিড়ে এ যাবত ৪টি মামলার উদ্ধব ঘটেছে। জানা গেছে,ডোমার উপজেলার গোমনাতী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিন গোমনাতী গ্রামের গ্রাম পুলিশ আবু বক্কর ছিদ্দিকের ছেলে হাফিজুল ইসলাম পার্শবর্তী কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের হাছানপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের মেয়ে ফজিলা বেগমের সাথে গত ২০০৬ সালে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এরই মধ্যে তাদের কোল জুড়ে আসে ৪টি সন্তান।এরমধ্যে ৩টি সন্তান মারা যায়। একমাত্র কন্যা সন্তান উম্মে হাফিজার বর্তমান বয়স ৭বছর। সম্প্রতি ফজিলা বেগম স্বামীর সংসার করবেনা জানিয়ে তার বাবার বাড়ীতে চলে যায়।স্বামী হাফিজুল ইসলাম নাছোরবান্দা কেন, কি কারনে সংসার করবেনা এনিয়ে দফায় দফায় বসে দেনদরবার কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। অবশেষে স্ত্রী উদ্ধারের মামলাসহ উভয় পক্ষে একে একে ৪টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলো বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। স্ত্রী না আসায় স্ত্রীকে ফিরে পেতে একমাত্র সন্তানকে নিয়ে হাফিজুল বর্তমানে দুই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।এ বিষয়ে হাফিজুল ইসলাম জানায়,আমার স্ত্রী পরকীয়া প্রেমে আসক্ত।আমি একজন গরু ব্যবসায়ী আমার গচ্ছিত এক লাখ ৬০হাজার টাকা নিয়ে তার বাবার বাড়ীতে চলে যায়।এ ব্যাপারে আমি আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। সে আমার সংসার করবেনা বলে তালবাহানা করছে। এ ছাড়া আমার স্ত্রী কৌশলে আমাকে এনএসভি করায়।ফলে পরবর্তীতে আমি আর বাবা হতে পারবোনা। অপরদিকে ফজিলা বেগম জানায়, আমার স্বামী জুয়াড়ী তাই আমি তার সংসার করবো না।আমি তার সংসার করবোনা বলায় সে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। এ ব্যাপারে কেতকীবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক দিপু জানান, অনেকদিন ধরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ চলে আসছে।কয়েকবার আপোষ মিমাংসা করে দেয়া হয়েছে।এভাবে চলতে থাকলে আমরা কি করতে পারি।