বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীর জলঢাকায় আর কত ভোগান্তির শিকার হবে পথচারীরা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : সামান্য বৃষ্টিতে জলেঢেকে পড়েছে নীলফামারী জলঢাকা পৌরসভার প্রধান সড়কটি। সোমবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায় জলঢাকা জিরো পয়েন্ট হতে উপজেলা পরিষদ ও হাসপাতাল চলা চলের একমাত্র প্রধান সড়কটি বৃষ্টির জলে একহাটু তলিয়ে রয়েছে। মানুষজন কেউ পায়ে চলাচল করতে পারছে না। পৌরবাসী আসাদুজ্জামান আসাদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন আমরা জলঢাকাবাসী জলেঢেকে গেছি। আমরা এমন পৌর মেয়র পেয়েছি তিনি বিএনপির রাজনীতি করে সব সময় গাঁঢাকা দিয়ে থাকেন। ফলে পৌরসভার উন্নয়নের বিন্দুমাত্র ছোয়া আমরা পাই না। নেই পানি নিস্কাশনের ড্রেনেজ ব্যবস্থা। রাস্তাঘাট কাঁদা আর হাটুপানিতে ভরে আছে। এমন দুর্ভোগে জলঢাকা বাসী জলে ডুবে আছে। ইদ্রিস আলী নামের অপর পৌরবাসী বললেন সামান্য বৃস্টি হলেই আমাদের রাস্তা দিয়ে চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। আমরা প্রয়োজনীয় কাজে ঘর হতে বের হতে পারিনা। তিনি বলেন সোমবার হতে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছ। তিনি আরও বলেন থৈ থৈ পানি আর কাদায় তলিয়ে যাওয়া এই সড়কে প্রতিনিয়ত প্রায় ২৫ হাজারের বেশি পথচারী চলাচল করে থাকে । তার মতে গত ৭ বছর যাবত পরিবর্তনের কোন বালাই নেই । বৃষ্টি হলেই এমন দুর্ভোগ আমাদের বইতে হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা না হলে বর্ষাকালে শহরের বসতভিটা তলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সড়কের ধারে মুদি দোকানী আব্দুর রহমান বলেন বৃষ্টির পানিতে রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় দোকানও খুলতে পারিনি। মানুষজন চলাচল করতে না পারলে দোকানে খরিদ্দার পাবো কই। আমাদের মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট বিএনপির নেতা। তাকেতো পাওয়াই মুসকিল। কই থাকে কই যায় খুঁজে পাওয়া যায়না। রাস্তাটা যদি আমাদের এলাকার এমপি (সংসদ সদস্য) নজর দিতেন তাহলে হয়তো আমরা এই দুর্ভোগ হতে রেহাই পেতাম। অপর দিকে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী ও জলঢাকা হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্মচারীরা একই সুরে জানালেন জলঢাকা শহরে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় প্রধান সড়কটি সামান্য বৃষ্টিতে তলিয়ে যায়। ফলে অফিসে ও হাসপাতালে লোকজন ও রোগীরা আসতে চরম বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। জটিল ও কঠিন রোগীদের নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়তে হয় তাদের স্বজনদের। জীবনের ঝুকি নিয়ে চলাচল করছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও মানবতার জীবন যাপন করছে সড়কের দুই পাশে বসতবাড়ির বসবাসরত লোকজন। জলঢাকা পৌরসভার কয়েকজন কাউন্সিলার জানান মেয়র ছাড়া আমরা এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। অপর দিকে পৌর মেয়রের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এমন কি তার মোবাইল ফোন সুইচ অফ পাওয়া যায়।