বিজ্ঞাপন দিন

সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার সেমাই

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানা। বিএসটিআই’র অনুমোদন ছাড়াই বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা এসব অস্থায়ী কারখানায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই, তাজা সেমাই, ভাজা সেমাইসহ বিভিন্ন প্রকার সেমাই । ব্যবহার করা হচ্ছে বিষাক্ত তেল ও রং ছাড়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান। স্থানীয় প্রশাসন অভিযান চালিয়েও প্রতিকার হচ্ছে না তাতে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জেলা বেকারি মালিক সমিতির নেতারা। গত মঙ্গলবার(২৮ -মে) সৈয়দপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি কারখানায় ঘুরে দেখা যায়, ভোক্তা অধিকার আইনকে উপেক্ষা করে তৈরি করছে সেমাই। সৈয়দপুর শহরের বিসিক শিল্প এলাকার খুশবু ফুড প্রোডাক্ট ও নিয়ামত পুরের তাজ ফুড প্রোডাক্ট কারখানায় তৈরি হচ্ছে সেমাই । যা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বিষাক্ত তেল ও রং যা মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান। এ ছাড়াও মানবদেহের ঘাম ঝড়ানো লবনক্ত পানি, ব্যবহার হচ্ছে না হাতের গ্লোচ । আর এসব বিষয় কথা হলে উপজেলা স্যানিটারী অফিসার অহিদুল হক অস্বীকার করে বলেন, আপনাদের (সাংবাদিক) কারনে এই সব ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ, আপনাদের আমরাও চাকরী করে শান্তি পাচ্ছি না। জেলার প্রকৃত ব্যবসায়ীদের দাবি, অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে যারা লাচ্ছা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তা না হলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আকর্ষণীয় মোড়কে মোড়ানো, দেখতে সুন্দর এসব লাচ্ছা দেখে বোঝার উপায় নাই, এসবে ব্যবহার হচ্ছে বিষাক্ত তেল এবং রং ছাড়া মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বিভিন্ন উপাদান। এসব লাচ্ছা সেমাই তৈরির কারখানাগুলোতে লাচ্ছা উৎপাদনের নামে চলছে, জনস্বাস্থ্য ধ্বংসের তৎপরতা।ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, জেলা বেকারি মালিক সমিতি নেতারা ।