বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারের সীমান্তে ভারতীয় ১৬ টি গরু জব্দ

রতন কুমার রায়-ডোমার(নীলফামারী)প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটির সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধ্য ভাবে আসছে ভারতীয় গরু । স্থানীয় একটি বিশেষ মহলের ছত্রছায়ায় চোরাচালানী চক্রটি কৌশলে ভারত থেকে এ সমস্ত গরু নিয়ে এসে নকল কাগজ দিয়ে বিভিন্ন হাট-বাজারে বিক্রি করে আসছে। গত দুই দিনে পুলিশ অভিযান চালিয়ে দু’টি স্থান থেকে মালিক বিহীন ১৬ টি ভারতীয় গরু জব্দ করেছে। পুলিশ জানান, উপজেলার সীমান্তবর্তী ভোগডাবুরী ইউনিয়নের কাওলা সবুজপাড়া গ্রামের জনি মিয়ার বাড়ীর উত্তর পাশে আব্দুল কাদেরের জমি থেকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারটায় ৫টি গরু জব্দ করা হয়েছে। এ সময় ওই এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করেও গরু গুলির মালিক পাওয়া যায়নি। বুধবার দুপুর দুইটায় একই ইউনিয়নের কাঠালতলী নুর ইসলামের বাগানের দক্ষিনে ফাঁকা জমি থেকে মালিক বিহীন ১১টি গরু জব্দ করে চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে গরু গুলির মালিকের কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানান, গোসাইগঞ্জ ও মুক্তিরহাট এলাকার চোরাচালানী চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে একটি বিশেষ মহলের ছত্রছায়ায় ভারত থেকে অবৈধ্য ভাবে গরু নিয়ে আসছে। গরু গুলি সীমান্ত পেরিয়ে আসার সাথে সাথে মিলছে কাগজ। সেই অবৈধ্য কাগজ দিয়ে বৈধ্য বানিয়ে গরু গুলি বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশ গরু গুলি জব্দ করার পর এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী ভুয়া গরু ক্রয়ের রশিদ দেখিয়ে পুলিশের কাছ থেকে গরুগুলো নিতে পারেনি। আটককৃত গরু গুলি চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রয়েছে। ৫৬ বিজিবি চিলাহাটি কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার রহমত উল্ল্যহ বলেন, ভোগডাবুরী ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সদস্যরা পেল্ট্রোল দিয়ে থাকে। হয়ত একদিক থেকে আরেক দিকে যাওয়ার সময় চোরাকারবারীরা এই গরুগুলো আনতে পারে। ভোগডাবুরী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান একরামুল হক বলেন, এই ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া সীমান্ত এলাকায় প্রায় দেড় কিলোমিটার কাটা তারের বেড়া নেই। সেই সুযোগে চোরাকারবারীরা স্থানীয় প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়ে এই কাজগুলো করছে। চিলাহাটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোসাইগঞ্জের সবুজপাড়া থেকে ৫টি ও কাঠালতলী মিস্ত্রিপাড়া খোলা মাঠ থেকে ১১টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে।