বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীর জলঢাকায় হাফিজিয়া মাদ্রাসার বাঁশ নিধন করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় বামনা বামনী নুরুল হক শাহ্ হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানার বাঁশ নিধন করে জমি দখল করার অভিযোগ এনে, ন্যায় বিচার এবং আসামীদের গ্রেফতারের দাবীতে ঘণ্টা ব্যাপী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে মাদরাসার ছাত্র ও এলাকাবাসী। সোমবার (১৭ জুন) বিকালে উপজেলার খুটামারা ইউনিয়নের বামনা বামনী এলাকার কচুকাটা ও হরিচন্দ্রপাঠ সড়কে এই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এলাকা বাসী ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঐ এলাকার মৃত আফসার আলীর ছেলে আব্দুল মতিন, আব্দুর রউফ, আবু সায়েম, আব্দুল করিম ও আব্দুল আলিম এবং তাদের চাচা মৃত মতিয়ার রহমানদের নিকট বি এস খতিয়ান নং-৯৯ ও সি এস খতিয়ান ২১০-২১৯, এস এ ২৩৭-২৩৯, সি এস দাগ ৬০২ ও বিএস দাগ ১৩৩৪ জমির পরিমাণ ১৯ শতকের মধ্যে ১৭ শতক জমি দলিল মুলে ক্রয় করেন নীলফামারীর বিশিষ্ঠ ঠিকাদার ও সমাজসেবক শাহ্ মোঃ আনোয়ার হোসেন । পরবর্তিত্বে তিনি ঐ জমি নুরুল হক শাহ্ হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানায় ওয়াকফ মুলে দান করেন। যা মাদ্রাসা থেকে প্রায় পাঁচশত গজ দুরে পাকা রাস্তা সংলগ্ন । ঐ জমিতে বাঁশ থেকে বাৎসরিক আয় ২০/২৫ হাজার টাকা আসলে মাদরাসায় বিভিন্ন উন্নয়নের কাজে ব্যবহার করা হয়। উক্ত মাদরাসার জমির পাশে, একই এলাকার মৃত হাছিন উদ্দিনের পুত্র আব্দুল হাকিমের জমি থাকায় বে-দখলের চেষ্টা চালায় আব্দুল হাকিম ও তার ছেলেরা। গত ১৫ জুন শনিবার দুপুরে আব্দুল হাকিম দলবল নিয়ে মাদরাসার জমিতে থাকা প্রায় তিন শত বাঁশ কাটতে থাকলে, মাদরাসার কমিটির লোকজন বাধা প্রদান করেন। আব্দুল হাকিম ঐ এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায়, তার লোকজন বিভিন্ন ভাবে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় । এঘটনায় মাদরাসার কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব সমসের আলী (৬৫) ঐদিনে জলঢাকা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় আব্দুল হাকিম কে থানায় নিয়ে যায়। আব্দুল হাকিম অসুস্থবোধ থাকায় বিকালে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এঘটনায় ক্ষুদ্ধ হয়ে আসামীদের গ্রেফতার ও ন্যায় বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী । এ ব্যাপারে জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান মুটোফোনে বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পাটিয়েছি সত্যতা পাওয়ায় আব্দুল হাকিমকে থানায় নিয়ে আসা হয়। তিনি বয়স্ক লোক, অসুস্থবোধ দেখা দিলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। বাঁশ কর্তনের অভিযোগে মামলা হয়েছে, যার নং-১৫/১৯।