বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি পুড়ে ছাই"

রবিউল ইসলাম রাজ,জলঢাকা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় এক ব্যবসায়ীর বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার উপজেলার বড়ঘাট বাজারের চেংমারী নামক স্থানে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ওই এলাকার ফহিমউদ্দীনের শাহিন আলম (৩৫) বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়েছে। আগুনের বর্বরতায় কোন কিছুই রক্ষা পায় নি। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন,বেলা ৩টা ৩৬মিনিটে বৈদ্যুতিক মিটার থেকে ধোয়া শুরু হয়ে মহুর্তে আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ৪/৫ মিনিটের মধ্যে পুরো বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে গচ্ছিত ২ লাখ টাকা,১ লাখ টাকার স্বর্নের অলংকার,১টি ফ্রিজ,৪টি স্মার্ট মোবাইল ফোন,২টি ওয়ার্ড্রোব,১টি ২১" টিভি,১টি কম্পিউটার সেট,১টি সাইকেল,২টি রাইচ কুকার,১টি পেসার কুকার,১টি ওয়াটার হিটার,২টি বক্সখাটসহ বসতবাড়ির মালামাল পুরে ছাই হয়েছে।প্রতিবেশীদের ধারনা,সর্বমোট প্রায় সাড়ে ১০ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিটি ঘটনাস্থলে দুরত্ব এসেও বসতবাড়িটিকে আগুনের থাবা থেকে রক্ষা করতে পারে নি। কারন আগুন বেশিক্ষন সময় দেয়নি।কারন,মহুর্তে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়েছে। পরে তারা আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে বাকী বাড়িগুলো রক্ষা পেয়েছে। এমন ঘটনায় পরিবারটি এখন অসহায়ত্ব বরন করেছে। এবং তাদের চোখে মূখে শুধু কান্নার রোল। প্রত্যক্ষদর্শী সাজেদুল ইসলাম বলেন,গতকাল ইলিয়াস মিস্ত্রি মিটার পরিবর্তন করে দিয়েছে। আর আজ সেই মিটারের আগুন দিয়ে পুরো বাড়ি পোড়া গেল। এলাকাবাসীরাও একই কথা বলেন,শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত।গতকাল কারেন্টের মিস্ত্রি ইলিয়াস হোসেন মিটার পরিবর্তন করে দিয়েছে। আগুন লাগার সময় ঘরের ভীতরে ঘুমে থাকা নুরনবী (১৪) বলেন,আমি ঘুমে ছিলাম।আগুনের আচে টের পেয়ে দেখি চারপাশে আগুন। এসময় আমাকে কে যেন টেনে বের করে নিয়ে আসে। আমি আর কিছু বলতে পারি না। বসতবাড়ির গৃহিণী এমন ঘটনায় ক্যামেরায় সামনে আসতেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এবং কান্নাজরিত কন্ঠে বলেন,আল্লাহ আমাদের সব কেরে নিয়েছে।আমরা এখন কোথায় থাকবো? কী খেয়ে বাঁচব? বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। ব্যবসায়ী শাহিন বার বার শঙ্কাহীন হয়ে পড়ছেন।সে স্বাভাবিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।তার মূখে কোন রকম কথা ফুটছে না। এবিষয়ে কারেন্টের মিস্ত্রি ইলিয়াস হোসেন সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে,সে বিষয়টি এড়িয়ে যান। এবিষয়ে জলঢাকা ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের ইনচার্জ মমতাজুল ইসলাম বলেন,খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাকী আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি।টিনসেন ঘর হওয়ার দুরত্ব আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনের সূত্রপাত শর্ট-সার্কিট হতে পারে।আমাদের ধারনা,এতে প্রায় ২ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজাউদ্দৌলা বলেন,আগুন লাগা বিষয়টি জেনেছি।