বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ৭১এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রস্তুতি সভা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ পরিবারের সদস্যদের হত্যা করায়, ঐ দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আগামী ১৫ আগষ্ট ২০১৯ এর ৪৫তম মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসটি যথাযথ মর্যদায় পালিত হবে। এরই ধারাবাহিতায় জাতীয় শোক দিবস পালনের লক্ষে নীলফামারী জেলার ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের প্রস্তুতি সভা অনুষ্টিত হয়। রবিবার (২১জুলাই) বিকালে ডাকবাংলো মোড় একাত্তরের সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের অফিস কার্যালয়ে অনুষ্টিত প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন, ৭১ এর সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি সফিয়ার রহমান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, সসহসভাপতি মোঃ আনোয়ার হোসেন শাহ ফকির, জেলা শাখার সহ-সভাপতি নুরুল আমিন সরকার, সহ-সভাপতি এছের আলী, জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ আলী, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল মালেক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল হামিদ, সহ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর ইসলাম, সদর উপজেলার সভাপতি আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক কবির হোসেন, সৈয়দপুর উপজেলা সভাপতি মাহাবুবর রহমান (দুলু), সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম, জলঢাকা উপজেলা সভাপতি আরফান সাদু ও ডিমলা উপজেলার সভাপতি কৃষ্ণ কান্তি সিংহ রায় প্রমূখ। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সফিয়ার রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু জন্ম না নিলে বাংলাদেশের কখনোই জন্ম হতো না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর যে নির্মম নির্যাতনের পর গুলি করে হত্যা করেছে সেই পাকিস্তানী দালালরা। তাদের বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে। 

স্বাধীন বাংলায় ৭১ এর কোন দালাল থাকতে পারবে না। তাদেরকে চিন্হিত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের আবারো সহযোগীতা করতে হবে। তিনি আরো বলেন, ঐ দিন হত্যাকারীরা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনাকে হত্যা করতে পারেন নাই। সেই শেখ হাসিনাই আজ দেশ পরিচালনা করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে বুকে ধারন করে সোনার বাংলা গড়তে চাইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। আগামী ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ পালনের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান তিনি।