বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় অসহায় শিশুদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ফ্রিতে পাঠদান দিয়ে যাচ্ছে 'জীবন তরী পাঠশালা'

রবিউল ইসলাম রাজ, রিপোর্টারঃ আজকের শিশু,আগামী দিনের ভবিষ্যৎ,আসছে নতুন প্রজন্ম তাকে ছেড়ে দিতে হবে আসন।কবিদের বাক্যগুলোকে মর্যাদার সাথে বাস্তবায়ন করার লক্ষে সেই আসনে আলো ছড়ানো শিশুদের বসাতে চায় সামাজিক সংগঠন 'জীবন তরী পাঠশালা'।বর্তমান গতিশীল সমাজে বিভিন্ন স্তরের মানুষ বসবাস করে থাকে।কেউ উচ্চ বিত্তবান,কেউবা আবার দিনে মিলে,দিনে খায়। এতে বুঝায়,দিন মজুর পরিবারের সন্তানরা পিছিয়ে পড়া অস্বাভাবিকের কিছুই না। অসহায়ত্বের টানে কেমনেই বা তাদের শিশুদের স্বপ্ন পুরন করবে? এমন প্রশ্ন যখন সমাজে ঘুরপাক খাচ্ছে,ঠিক তখনি বেরিয়ে আসে একদল যুবক যুবতী।শ্রম আর মেধায় প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অপিজার রহমানসহ অন্য সদস্যবৃন্দ ২০১৮ সালে গড়ে তুলে জীবন তরী পাঠশালা। তাদের নিরলস শ্রম মেধা এ পাঠশালা এক বছরে সমাজের সকলের চোখ কেড়ে নিতে সক্ষম হয়েছে।তাদের প্রচেষ্টায় নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার দুন্দিবাড়ি মাইজালীপা­ড়া এলাকার প্রায় শতাধিক অসহায় শিশু ফ্রিতে পাঠদান পাচ্ছেন।এমন কার্যক্রমে পিছিয়ে পড়া শিশুরা এখন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছে। বর্তমান তাদের স্বপ্ন আকাশ চুম্বী।তাদেরকে আর দাবিয়ে থাকতে হবে না। 

এমন আভাস দেখা দিয়েছে,দিনমজুরের কন্যা,দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী মনিফা আক্তারের মাঝে। তার স্বপ্ন উচ্চতর শিক্ষা নিয়ে একজন ডাক্তার হিসেবে নিজেকে তৈরি করবে।এবং গ্রামের মানুষদের ফ্রিতে চিকিৎসা সেবা দিবে। এভাবে প্রথম শ্রেণির ছাত্র আশরাফুল ইসলামের স্বপ্ন মস্ত বড় এক পুলিশ অফিসার হয়ে সাধারন মানুষদের হয়রানি মুক্ত করবে।এদের মতো শিক্ষার্থী লামিয়া,নুরী,রহমত আলী,জান্নাতি,আলিফসহ সবাইরে ইচ্ছা যেন মানব কল্যাণে সেবা করা। প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অপিজার রহমান বলেন,বর্তমানে আমাদের সংগঠনে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫২জন। এরা সকলে অসহায় পরিবারের সন্তান। আমরা প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ফ্রিতে পাঠদান দিয়ে থাকি। 

ক্লাসে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে কোমলমতি শিশুদের পুরস্কৃত করে থাকি এবং প্রতি সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে পড়াশোনার দেখ ভাল করি। আমাদের লক্ষ্য,শতভাগ শিক্ষা নিশ্চিত করা।পিছিয়ে পড়া শিশুরাই যেন আগামীতে দেশের সবোর্চ্চ স্থানে নেতৃত্ব দিতে পারে আমাদের প্রচেষ্টা এটাই। আমি সকলের কাছে দোয়া ও ভালোবাসা চাই এই কার্যক্রম যেন সবখানে ছড়িয়ে দিতে পারি।সেই সাথে সংসদ সদস্য,জেলা ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সমাজের বিত্তবানদের কাছে জোরদাবি আপনারা অসহায় শিশুদের পাশে সবসময় থাকবেন।