বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় তিস্তার শ্রোতের ডানতীর বাধে ভাঙ্গন : আতঙ্কে ২০ হাজার পরিবার

আবেদ আলী বিশেষ প্রতিনিধিঃ টানা ৫ দিনের ভারীবর্ষণে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তায় হঠাৎ করে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বুধবার সকাল ৯ টা হতে ১২টা পর্যন্ত তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হলে দুপুরের পর তা নেমে আসে ২৩ সেন্টিমিটারে। এমনটায় জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী জোনের এসডি হাফিজুল হক। এদিকে তিস্তার পানি বৃদ্ধিতে নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী বান পাড়ায় তিস্তা এবং বুড়ি তিস্তার শ্রোতের আঘাতে ডানতীর গ্রাম রক্ষা বাধে ভাঙ্গন দেখা দেওয়ায় প্রায় ২০ হাজার পরিবার আতঙ্কে রয়েছে। সরেজমিনে গেলে, পানি বোর্ডের এসডি হাফিজুল হক বান পাড়া বাধ এলাকাবাসিকে সাথে জিও ব্যাগের বালু বস্তা ফেলে বাশদিয়ে বাধের ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছে। ওই এলাকার বাসিন্দা মনির উদ্দিনের ছেলে আশরাফ আলী ও দিদার রহমান জানায়, পরিবার পরিজন নিয়ে খুবেই ভয়ের মধ্যে আছি, বাধে যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে এটি ভেঙ্গে শুধু এই বান পাড়ায় নয়, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের ২০ হাজারেরও বেশি পরিবার পানি বন্দী হবে। ছাবেদ আলী ও জহুরুল হক বলেন, বাধ ভাঙ্গন রোধে স্থায়ী কোন সমাধান না থাকায় প্রতিবছর আমাদের ভাঙ্গনের কবলে পরতে হয়। এছাড়াও তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে পাশের হাতিবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলার নদীবেষ্টিত চর ও চরের গ্রামগুলো প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান প্রানজিৎ কুমার রায় পলাশ জানান, আমার ইউনিয়ন সহ ডাউয়াবাড়ী গোপালঝাড় ও আলসিয়া পাড়ার পরিবার গুলোতে বন্যার পানি প্রবেশ করতে পারে। বান পাড়া বাধ এলাকার লোকজন আতঙ্কে রয়েছে, কখন যে বাড়ি-ঘর সরাতে হবে এর ঠিক নেই। ভারীবর্ষণে নিচু অঞ্চল ও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। যে কোনো সময় এই বাধ পুরোটাই ভেঙ্গে গেলে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করতে পারে। এব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড নীলফামারী জোনের এসডি হাফিজুল হকের সাথে কথা হলে তিনি খোলা কাগজ কে জানিয়েছেন, বান পাড়া বাধ ৬০ মিটার পর্যন্ত ভাঙ্গন পাওয়া গেছে, আমরা ১২০ মিটার পর্যন্ত এই ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা করছি। তবে এ বাধটি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থায়ীভাবে রক্ষার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা আগামী সেপ্টেম্বর থেকে এর কাজ শুরু হবে বলে আশা করা যায়।