বিজ্ঞাপন দিন

পোষ্ট অফিস তো নয় যেন পরিত্যক্ত ভবন !

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পোষ্ট অফিসটি সংস্কারের অভাবে ভেঙ্গে যেতে বসেছে। ১১ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত জলঢাকা উপজেলা। ১৯৮৪ সালে এ উপজেলায় স্থাপিত হয় পোষ্ট অফিসটি (কোড নং ৫৩৩০)। এ উপজেলায় ১৪ টি ডাকঘর রয়েছে। বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তিতে শহরের পোষ্ট অফিস গুলোতে ব্যবহার কিছুটা বাড়লেও মফস্বলে এর তেমন কোন প্রভাব নেই। যোগাযোগ আধুনিকতার প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পোষ্ট অফিস গুলোর ব্যবহারও হ্রাস পেয়েছে। ফলে হারাতে বসেছে পোষ্ট অফিসের অধিকাংশ কার্যক্রম। বাংলাদেশে এক সময় ডাকঘর বা পোষ্ট অফিসের সামনে দেখা যেত মানুষের উপচে পড়া ভিড়। 

কারণ চিঠি পত্র আদান প্রদানের সকল ব্যবস্থাই ছিলো পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে। কিন্তু এখন আর সেটা দেখার মত নেই। বর্তমান যুগে মোবাইল,ফ্যাক্স,ই-মেইল,ইন্টারনেটসহ যোগাযোগের দ্রুত মাধ্যম হওয়ার ফলেই মানুষ এখন উন্নত প্রযুক্তির দিকে ধাবিত হচ্ছে। এতে পোষ্ট অফিসের মাধ্যমে চিঠি পত্রের আদান প্রদান হারিয়ে যেতে বসেছে। ফলে সরকারি ভাবে পোষ্ট্ অফিসগুলোর উন্নয়নে তেমন কারও মাথা ব্যথা নেই। এই ধারাবাহিকতায় দেশের অন্যান্য পোষ্ট্ অফিসের ন্যায় জলঢাকা পোষ্ট্ অফিসের অবব্যবস্থাপনা বেড়ে চলছে। উপজেলার তেমনি একটি পোষ্ট্ অফিস! যেটি স্থাপিত হয়েছিল ১৯৮৪ সালে। স্থাপিত হওয়ার পর থেকে এই পোষ্ট্ অফিসে অদ্যাবধি সরকারের কোন দৃষ্টি পড়েনি। নেই আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও চলছে সেই ঠক ঠক শব্দ করে চিঠিতে টিকিট লাগানোর কাজ। শুধু তাই নয় বর্তমানে ডাকঘরের প্রতি সরকারের দৃষ্টি না থাকায় ২৫ বছরেও জলঢাকা পোষ্ট্ অফিস ভবনটিতে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। 

এর কারনে বহুদিনের পুরাতন ভবনটি ভেঙ্গে যেতে বসেছে। দূর থেকে দেখলে মনে হয় এটি একটি পরিত্যক্ত ভবন। এমনকি ভবনের সামনে ‘‘জলঢাকা ডাকঘর’’ লেখাটিও মুছে গেছে অনেক দিন আগে। আর অফিসের সামনে থাকা চিঠি প্রদানের বক্য্রটি ও রয়েছে ময়লা আবর্জনার সঙ্গে। তা দেখে মনে হয় ডাস্টবিন। তারপরেও চলে এই পোষ্ট্ অফিসের অধিনে ১৪ টি পোষ্ট্ অফিসের সাথে চিঠি আদান প্রদান। জানতে চাইলে উপজেলা পোষ্ট মাষ্টার কাজী মোকতাহুল হক এ প্রতিবেদককে বলেন,‘‘আমি দেড় বছর যাবত দায়িত্বে রয়েছি,আমার সময়ে কোনও বরাদ্দ আসেনি।”