বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে সভাপতির অভিযোগ

ফরহাদ ইসলাম, জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধি : নীলফামারীর জলঢাকায় এক মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন ওই মাদ্রাসার সভাপতিসহ কমিটির সদস্যরা। ঘটনাটি উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসায়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দিনভর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করেন,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক। এ সময় মাদ্রাসার সুপারসহ কমিটির সকল সদস্য ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা’র কাছে ওই মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন তার লিখিত অভিযোগে জানান, এ.কে.এম গোলাম মোস্তফা এ মাদ্রাসায় সুপার পদে যোগদানের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে দূর্নীতির আখাড়ায় পরিনত করেছেন এবং মাদ্রাসার জমি বিভিন্ন লোকজনের নিকট বিক্রি করে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন সুপার গোলাম মোস্তফা। লিখিত অভিযোগে তিনি আরও জানান,মাদ্রাসার ছাত্র/ছাত্রীদের নিকট ফরমপূরন ও উপবৃত্তির টাকা বিকাশ করার নাম করে হাতিয়ে নেন ওই সুপার। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার গোলাম মোস্তফা তদন্ত শেষে সাংবাদিকদের বলেন,‘‘ফরম পূরনের অতিরিক্ত টাকা নোটিশে উল্লেখ থাকলেও ছাত্র/ছাত্রীদের কাছে কম নিয়েছি। বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।’’ তদন্তকারী কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা চঞ্চল কুমার ভৌমিক বলেন,‘‘ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তদন্ত করা হলো,অভিযোগ প্রমানিত হলে অভিযুক্ত সুপারের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজাউদ্দৌলা বলেন,‘‘ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হয়েছে,কিন্তু তদন্তের রিপোর্ট এখনও হাতে পায়নি।’’ উল্লেখ্য, বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে মাদ্রাসা সুপার গোলাম মোস্তফা এর আগেও তিন বছর বরখাস্ত ছিলেন। #