বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারীতে নেই চামড়ার দাম : বিপাকে পড়ছে বিক্রেতা ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধি : কোরবানির পশুর চামড়া বিভিন্ন গ্রাম গঞ্জ থেকে ক্রয় করে এনে অধিক লাভের আশায় বিক্রি করতে আসে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কিন্তু নিয়মিত ব্যবসায়ীদের কাছে দাম পাচ্ছে না এসব মৌসুমি ব্যবসায়ী। এতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। চামড়ার দাম না থাকায় বিপাকে পড়েছেন এমন কথা বলেন, নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার পশ্চিম খুটামারার কোরবানির চামড়া বিক্রেতা মনছুর আলী, সাইফুল ইসলাম এবং মৌসুমি ব্যবসায়ী অলিয়ার রহমান ও ভেলু মামুদ। চামড়া বিক্রি করতে গিয়েও হোঁচট খাচ্ছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা । এক লাখ টাকায় কেনা একটা গরুর চামড়ার দাম এক ব্যবসায়ী বলছেন কিনা ৩০০ টাকায়। বিক্রি করতে গেলে অর্ধেক দাম না থাকায়, পরে তিনি সেই চামড়া স্থানীয় এক এতিমখানায় দান করেছেন। 

এ ধরনের অভিজ্ঞতার কথা জানালেন আরও অনেকে । এবার কোরবানির পশুর চামড়ার দাম একেবারেই কম বলা চলে। যাঁরা কোরবানি দিয়েছেন, তাঁরা যেমন চামড়ার দাম পাননি, তেমনি দাম পাচ্ছেন না মৌসুমি ব্যবসায়ীরাও। মঙ্গলবার বিকেলে জেলার জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ছোট চামড়ার দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, মাঝারি আকারের প্রতিটি চামড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং বড় চামড়া ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই দাম গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরো অনেক কম।কিশোরগঞ্জ পুটিমারী ইউনিয়নের খোকার বাজার নামক এলাকায় কয়েকজন মৌসুমি ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, আড়তদাররা সিন্ডিকেট করে চামড়ার বাজার কমিয়ে দিয়েছেন। তারা আরো বলেন, যে চামড়া কিনেছি তার খরচ উঠাতে হিমশিম খেতে হবে। 

প্রথমে তিন থেকে পাঁচ শত টাকায় চামড়া ক্রয় করেছি, পরে জানতে পাড়লাম চামড়ার বাজারে ধশ নেমেছে। মৌসুমি ব্যবসায়ীরা আরো বলেন, চামড়া প্রতি খরচ পড়ছে এক থেকে দেড়শ টাকা। এই টাকা তুলতে না পাড়লে লোকশান গুনতে হবে। অপরদিকে কোরবানি যারা দিয়েছে তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলেন, চামড়া বিক্রির টাকা কোন গরীব ও এতিম মিছকীনদের দিতে পারছি না। চামড়ার বাজার শুনে তারাও ভয়তে কিছুই বলতে পারেনা এবং ধারেও আসে না। আবার কেউ বলছে দামে গরু কিনে কোরবানি দিয়ে কম দামে বিক্রি করেছি এটা জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা ।