বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় শোক দিবসে আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ,পাঁচ পুলিশসহ আহত-৯

রবিউল ইসলাম রাজ, জলঢাকা প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী পালন উৎযাপন উপলক্ষে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা এ ঘটনা ঘটে। এতে পাচঁজন পুলিশসহ ৯জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- এস আই মামুনসহ ৫ জন কনস্টেবল,মুদিপাড়ার শাহিন আলম (৪২) মাষ্টার,আনোয়ার হোসেন (৪০) ও চেরেঙ্গার শফিয়ার রহমান (৪০) আরও একজন।এস আই মামুনের আবস্থা আশংকাজনক দেখে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকীরা সবাই জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি আছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়,জলঢাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারন সম্পাদকের সমার্থক ও সাবেক এমপি (গোলাম মোস্তফা) উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর এর সমার্থকদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।সূত্র জানায়, সকাল বেলা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বঙ্গবন্ধু মুড়ালে প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে গেলে সেখানে আগে অবস্থানরত গোলাম মোস্তফা ও বাহাদুরসহ তাদের সমার্থকদের সাথে সংঘর্ষে জরিয়ে পড়ে।এরপর ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ পরিবেশ কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ জিরোপয়েন্ট মোড়ে আলোচনা সভায় মিলিত হয়।উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনছার আলী মিন্টু এর সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য রাখেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ, উপজেলা আ'লীগের সাধারন সম্পাদক শহীদ হোসেন রুবেল,আ'লীগ নেত্রী ববিতা রানী সরকারসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।

অপরদিকে সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমার্থকরা জোট বেধে বঙ্গবন্ধু চত্বরে বিপরীত আর একটি মিটিং এর আয়োজন করায় ক্ষেপে যায় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা। তারা দলবদ্ধ হয়ে মিটিং ভন্ডুল করে দেয়। তারা বলেন,জলঢাকা উপজেলায় একটি মাত্র প্রোগ্রাম হবে। আ'লীগের প্রোগ্রাম শেষে বঙ্গবন্ধু মুড়ালের দিকে গেলে আবারও শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। এসময় পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে পরিবেশ নিয়ন্ত্রনে আনে। এতে পুলিশ কনস্টেবল মেহেদী অসুস্থ হয়। এবং সাধারন মানুষ শাহিন আলমের মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয়।এরা সকলে জলঢাকা হাসপাতালে ভর্তি আছে। জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন বলেন,জাতীয় শোক দিবসে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরিবেশ নিয়ন্ত্রন করতে আমরা টিয়ার গ্যাসও ছোড়েছি।এখন পরিবেশ শান্ত আছে।