বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় ১৭১ টি মন্ডপে চলছে দূর্গাউৎসবের শেষ সময়ের প্রস্তুতি

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ শনিবার মহালয়ার দেবী বন্ধনার মধ্য দিয়ে নীলফামারীর জলঢাকায় ১৭১ টি মন্ডপে চলছে দূর্গাউৎসবের শেষ সময়ের প্রস্তুতি। ঘরে ঘরে চলছে দেবী দুর্গার আগমনী বার্তা। ৪ অক্টোবর ষষ্টি বোধনের মধ্য দিয়ে শুরু হতে যাচ্ছে ৫ দিন ব্যাপী সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা যায়, এবারে ১৭১ টি মন্ডপে দূর্গাউৎসব অনুষ্ঠিত হবে। এ দিকে দূর্গউৎসবের সময় ঘনিয়ে আসায় পূজা মন্ডপগুলোর আকর্ষন বাড়াতে সাজসজ্জাসহ ব্যস্ত সময় পার করছেন মৃৎ শিল্পীসহ সংশ্লিষ্ট মন্দির কমিটি। ইতিমধ্যে প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলছে রং তুলির কাজ। রং তুলি আচরে দেবী প্রতিমাকে আর্কষনীয় ও সুন্দর্যর সৃষ্টিতে নানান রকম কর্মপরিকল্পনায় কাজ করছেন মৃৎ শিল্পীরা। উপজেলা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। উত্তর চেরেঙ্গা সার্বজনিন দূর্গা মন্দিরের মৃৎ শিল্পী রতন পাল বলেন,‘‘ইতিমধ্যে মন্ডপে প্রতিমা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে,এখন চলছে রং তুলির কাজ,যথাসময়ে পুর্নাঙ্গ প্রতিমার কাজ শেষ হবে।’’ উপজেলা পূজা উৎযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জোতিষ চন্দ্র সরকার বলেন,‘‘এবারে উপজেলায় ১৭১ টি পূজামন্ডপে দূর্গাউৎসব অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের ন্যায় এবারেও উৎসবমুখর পরিবেশে দূর্গাউৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে আমরা আশা করছি। প্রশাসন এ ব্যাপারে আমাদের সর্বাত্তক সগযোগিতা করছে।’’ আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন,সনাতন ধর্মম্বালীদের এই প্রাণের উৎসবকে শান্তিপুর্নভাবে পালনের জন্য পুলিশের পাশাপাশি তিন স্তরের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়ন থাকবে এবং সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন পুরো উপজেলায় নজরদারি করবে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন,এই দুর্গা পূজায় যে কোন অপ্রতিকর ঘটনা এড়াতে থানা পুলিশের পাশাপাশি থাকবে আনসার ও গ্রাম পুলিশসহ মন্দিরের সেচ্ছাসেবী সদস্যগন।” উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুজাউদ্দৌলা বলেন,‘‘মন্ডপগুলোর জন্য সরকারি বরাদ্দের পাশাপশি এ উৎসবকে সার্বজনিন করতে মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের লোকজন কাজ করছে।’’