বিজ্ঞাপন দিন

কিশোরগঞ্জে শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সংলাপ অনুষ্ঠিত

কিশোরগঞ্জ (নীলফামারী) প্রতিনিধি: নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা হল রুমে কিশোরগঞ্জ এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের আয়োজনে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সিপি অফিসার, (প্রাথমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক) উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, গ্রাম উন্নয়ন কমিটি, শিশু ফোরাম ও সাংবাদিকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ‘ শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সংলাপ। 

গতকাল সকাল ১০টায় শিশু সুরক্ষা বিষয়ক সংলাপ শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, কিশোরগঞ্জ এপি, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মি. পিকিং চাম্বু গং। উপস্থিত ছিলেন, মোঃ আবুল কালাম আজাদ (ইউ.এন.ও), ডাঃ মোঃ মেজবাহুল হাসান (মেডিকেল অফিসার), এটিএম নুরল আমিন শাহ (শিক্ষা কর্মকর্তা), মোছাঃ শরিফা আক্তার (প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা), আবু সায়েম লিটন (চেয়ারম্যান), মোঃ ফারুক উজ জামান (চেয়ারম্যান), প্রোগ্রাম অফিসার মি. মিন্টু বিশ্বাস, মি: শ্যামল মন্ডল, কৃষিবিদ মোঃ আমজাদ হোসেন, সঞ্চালক হিসাবে আমাদের বাড়ী, স্কুল এবং কর্মক্ষেত্রে বাচ্চাদের শারীরিক সহিংসতা বন্ধে উন্নয়নমূখী সংলাপ পরিচালনা করেন, প্রোগ্রাম অফিসার, সানজিদা আনসারী। শিশু ফোরামের ভূমিকা এবং ক্রিয়াকলাপ ভাগাভাগি করে নিয়ে শিশুরা শ্লোগান দেন, আমরা চাই- সকল শিশুদের জন্য সুস্বাস্থ্য, সমতাভিত্তিক মান সম্মত শিক্ষা, ছেলে-মেয়ে সমতা, সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য বন্ধ, সকল প্রকার নির্যাতন থেকে মুক্তি। আলোচনা হয়, শিশুদের অনুভূতি, মতামত ও প্রস্তাবনা। শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বাস্থ্য বিষয়ে, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় শিশুদের অংশগ্রহণ, শিশুদের প্রতি সহিংসতা- সমস্যা ও প্রস্তাবনা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বড়ভিটা ইউনিয়নে পানিতে ডুবে দু’টি শিশুর মৃত্যুর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, শিশুরা যে কোন জায়গায় অবহেলা, নিপীড়ন, হিংসা শোষণের শিকার হতে পারে। কখন ও তারা স্কুল চত্ত্বরে, কখন ও স্কুলের বাইরে, কখন ও বাড়ীতে। তবে আপনারা তাদের সাহায্য না করে এড়িয়ে যেতে পারেন না। 

তবে এটা তখনই সম্ভব যখন আপনি সমস্যাটিকে চিহ্নিত করতে পারবেন এবং সেটা বুঝে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজতে কিছু সময় খরচ করবেন। ইউপি চেয়ারম্যান আবু সায়েম লিটন আয়োজকদের কাছে আবেদন রেখে বলেন, বাল্যবিবাহ একটা শিশুর ভবিষ্যৎকে করে তুলে বিপদগ্রস্থ্য। সমাজের সর্বস্তরে শিশুর অধিকার সুরক্ষায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের মায়েরা যারা শিশু সুরক্ষার জন্য দায়িত্ববাহক তাদেরকে ইতিবাচকভাবে এগিয়ে আনতে সেই মায়েদের নিয়ে সংলাপ করার আহবান জানান।