বিজ্ঞাপন দিন

ডোমারে ৩৬ তম শিক্ষা ক্যাডার সোলায়মানের উপর সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানব বন্ধন।

রতন কুমার রায়,ডোমার-নীলফামারীঃ-নীলফামারীর ডোমারে ৩৬ তম শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক সোলায়মানের উপর সন্ত্রাসী হামলা কারীদের দৃষ্ঠান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮সেপ্টেম্বর(রবিবার)সকাল ১১টায় ডোমার সরকারী কলেজ চত্বরে সরকারী কলেজের আয়োজনে এ মানব বন্ধনের আয়োজন করা হয়। ডোমার সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল করিমের সভাপতিত্বে নীলফামারী জেলা বি,সি,এস সাধারন শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম,নীলফামারী সরকারী কলেজের সহকারী অধ্যক্ষ(রাষ্ট্র বিঞ্জান)আনিছুর রহমান, ডোমার সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল করিম,চিলাহাটি সরকারী কলেজের প্রভাষক(রাষ্ট্রবিঞ্জান)কানু চন্দ্র রায়,ডোমার মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শাহিনুল ইসলাম বাবু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।এ সময় নীলফামারী জেলা বি,সি,এস সাধারন শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদক জাহেদুল ইসলাম যানান অবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।শান্তু ও সৈকতসহ তার সহযোগীদের বহিস্কার করা,যদি সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বহিস্কার করা না হয় তাহলে আমরা কলেজ প্রত্যাক্ষান করবো বলে হুশিয়ারী দেন তিনি।উল্লেখ্য গত ৭ সেপ্টেম্বর এইচ,এস,সি প্রথম বর্ষের ছাত্র শান্ত,সৈকদ সহ তাদের সহযোগী ১৬-১৭ জন ডোমার সরকারী কলেজের ইসলামী ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক(৩৬ তম বিসিএস)সোলায়মান আলীকে কথা কাটা কাটির এক পর্যায় তৃতীয় তলা থেকে মারতে মারতে নিচতলা একাডেমিক ভবনে নিয়ে আসে।

এতে সোলায়মান আলী গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে তাৎক্ষনিক ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে ।এ বিষয়ে প্রভাষক সোলায়মান আলী নিজে বাদী হয়ে কলেজপাড়া এলাকার মাছ বিক্রেতা লিটনের ছেলে শান্ত, ও ছোট রাউতা সাহাপাড়া এলাকার আনজারুল চৌধুরীর ছেলে সৈকদ চৌধুরী সহ আরো অঞ্জাতনামা ১৬-১৭ জনকে আসামী করে মামলা নং ০৮ ,তারিখ ০৭-০৯-১৯ইং দায়ের করেন।এ ঘটনায় পশ্চিম চিকনমাটি দোলাপাড়ার নজরুল ইসলামের পুত্র নাজিমুল ইসলাম(১৭) সন্দিদ্ধ কে সকাল ১১ টায় সরকারী কলেজ গেট থেকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। মানববন্ধনের সভাপতি সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল করিম বলেন শিক্ষক জাতির মেরুদন্ড,শিক্ষক যদি এভাবে লাঞ্চিত হয় তাহলে জাতি অবশ্যই লাঞ্চিত হবে।তিনি আরও বলেন প্রশাসনকে আমি বলেছি, ২৪ ঘন্টার ভিতরে এরা যে যেখানে থাকুক না কেন তাদেরকে ধরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেন।