বিজ্ঞাপন দিন

জলঢাকায় মশার উৎপত্তি স্থল পরিস্কার না করে নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছেন পৌর কর্তৃপক্ষ ॥ জনমনে ক্ষোভ

ফরহাদ ইসলাম,জলঢাকা (নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় মশার উৎপত্তি স্থল ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনে জমানো পানি পরিস্কার না করেই মশা নিধন কার্যক্রম চালাচ্ছেন পৌর কর্তৃপক্ষ। বরিবার সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় এ নিধন কার্যক্রম চালানো হয়। গভীর রাত পর্যন্ত নিধন কার্যক্রম চালায় এ সময় এ কার্যক্রমকে নিয়ে সমালোচনা করতে শোনা যায়। পৌরশহরের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম,মুকুল ইসলাম,মাসুদ রানাসহ একাধিক ব্যক্তি জানায়, এত গভীর রাতে ডেঙ্গু নিধন কর্মসূচি কতটা যৌক্তিক,মনে হয় মেয়র কোন বড় ধরনের বরাদ্দ পেয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়,এবারে ডেঙ্গু প্রতিরোধের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা জলঢাকা পৌরসভার জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে মশা নিধন কার্যক্রমের আগে মশার উৎপত্তি বন্ধ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ইতিপূর্বে দেশের সকল সিটি কর্পোরেশন ও পৌর কর্তৃপক্ষ তাদের নিজ শহরের আনাচে কানাচে ডেঙ্গু, চিকন গুনিয়াসহ মশা বাহিত রোগ প্রতিরোধে শহর পরিচ্ছন্নতাসহ ব্যাপক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। এবং কি ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণ সচেতনতা বৃদ্ধিতে শহর জুড়ে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ চালিয়েছেন। তবে জলঢাকা পৌরসভায় এখন পর্যন্ত শহর পরিচ্ছন্নতায় পৌর কর্তৃপক্ষের কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি। নিয়মিত পরিস্কার না করায় পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে জমে রয়েছে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। আবার বেশকিছু জায়গায় প্রধান সড়কের পাশে ময়লার সঙ্গে ড্রেনের পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। যেখান থেকে জন্ম নিতে পারে বিভিন্ন ধরনের মশা। শহরের ভিতর থেকে ময়লা আবর্জনাগুলো সরিয়ে না নেওযায় পৌর কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা। পৌরশহরের ময়লা আবর্জনা ও ড্রেনে জমানো পানি পরিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর সচিব আশরাফুজ্জামানের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন,‘‘মেয়রের সঙ্গে কথা বলেন।’’ পৌর মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেটের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্ঠা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।