বিজ্ঞাপন দিন

নীলফামারী সদরে তিন সন্তানের জননী ভাবীকে ধর্ষনের চেষ্টা

আব্দুল মালেক, নীলফামারী প্রতিনিধিঃ স্বামী যখন সংসারের খরচ জোগান দিতে ঢাকায় রিক্সা চালাতে মাসের পর মাস থাকে। ঠিক তখনই মামাতো ভাইয়ের কুপ্রস্তাবে স্ত্রী রাজি না থাকায় শুরু পাশবিক অমানুষিক নির্যাতন ও ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হওয়ায় বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারীর সদর উপজেলার লক্ষিচাপ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড দুবছড়ি গ্রামে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় ঐ এলাকার আব্দুল জব্বারের স্ত্রী শরিফা বেগমের শোয়ার ঘরের দড়জা ভেঙ্গে প্রবেশ করে একই এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আব্দুর রশিদ (৩৫)। তিন সন্তানের জননী শরিফা বেগম দুই ছেলেকে সাথে নিয়ে নিত্যদিনের মত ঘুমিয়ে পড়ে। ঘুমান্ত অবস্থায় শরিফা বেগমকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ইজ্জত বাঁচাতে আত্ম চিৎকার দয়ার প্রাক্কালে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। দুই জনের ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে ঘুমিয়ে থাকা দুই ছেলে মা'কে বাঁচানোর জন্য আত্নচিৎকার দিলে লম্পট আব্দুর রশিদ পালিয়ে যায়। সরেজমিনে গেলে, ঐ এলাকার মৃত আনছার আলীর ছেলে সুলতান আলী(৪৫), জামাল উদ্দিন ও তার স্ত্রী হাসিনা বেগম জানান, আমরা জব্বারের ছেলেদের চিৎকার চেচামেচি শুনে তড়িৎগতিতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পরপরই আব্দুর রশিদের বাড়িতে যাই, দেখি তার ঘরের দরজা খোলা। ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে রশিদ ও তার পরিবারের লোকজন আমাদের বিভিন্নভাবে গালমন্দ করে। শরিফা বেগম জানায়, রশিদ আমার স্বামীর মামাতো ভাই। বেশ'কদিন যাবত আমার ঢাকায় রিক্সা চালাতে যায়, এই সুযোগে রশিদ আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসে। তার প্রস্তাবে রাজি না হলে, সে বাড়িতে ইট দিয়ে ঢিল মারে। শরিফা বেগম আরো জানায়, আজ রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে সে(রশিদ) ঘরের দরজার বাধন খুলে ঘরে ঢুকে ঘুমন্ত অবস্থায় আমাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। ধর্ষনের চেষ্টায় ব্যর্থ হলে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে বালিশ চাপা দেয়। ঘুমন্ত ছেলেরা মা'কে বাঁচানোর জন্য চিৎকার চেচামেচি করলে সে পালিয়ে যায় বলে গৃহবধূ শরিফা বেগম জানায়। আর এ ঘটনা কে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করছে প্রভাবশালী মহল। ঘটনার সত্যতা জানতে আব্দুর রশিদের বাড়িতে গেলে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে লক্ষিচাপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন বলে তিনি জানান।