বিজ্ঞাপন দিন

"জলঢাকায় আলোর কণা শিক্ষার্থীদের মাঝে কুইজ প্রতিযোগিতা"

রবিউল ইসলাম রাজ,(জলঢাকা) নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকায় সামাজিক সংগঠন আলোর কণা'র খুদে শিক্ষার্থীদের মাঝে সাপ্তাহিক কুইজ প্রতিযোগিতা হয়েছে। শুক্রবার সকালে দুন্দিবাড়ী মাইজালী পাড়া এলাকায় ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রে এ প্রতিযোগিতা হয়। প্রতিযোগিতা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভা হয়েছে। অনুষ্ঠানে আলোর কণা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নয়াপাড়া আলহাজ্ব নবী হোসাঈন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নাহিদ পারভেজ পাবেল ও বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা সন্দ্বীপ রায়। জানা যায়, এ সপ্তাহে কুইজ প্রতিযোগিতায় প্লে শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে অভি ও দ্বিতীয় জান্নাতি আক্তার,প্রথম শ্রেণীতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে ফিরোজ/ফেরদৌসী ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার করতে সক্ষম হয়েছে সাব্বির,দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ফরহাদ ও দ্বিতীয় স্থান রিমু আক্তার,তৃতীয় শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে সুশীল ও দ্বিতীয় ওমর ফারুক,চতুর্থ শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে তুশিতা ও দ্বিতীয় হয়েছে জুই আক্তার,পঞ্চম শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে ক শাখায় জান্নাতি খ শাখায় রনি ও ক শাখায় দ্বিতীয় সোমা খ শাখায় সুমাইয়া,ষষ্ঠ শ্রেণীতে প্রথম হয়েছে মুন্নি যৌথভাবে দ্বিতীয় হয়েছে আনিতা/আখি/শারমিন।উল্লেখ্য,আলোর কণা একটি সামাজিক ও অরাজনৈতিক সংগঠন। ২০১৩ সালে ফুরদের নেতৃত্বে একঝাক শিক্ষিত যুবক/যুবতী আত্নমানবতার সেবায় সংগঠনটি চালু করেন। এ সংগঠনের মাধ্যমে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ,নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ,বৃক্ষ রোপণ,গ্রামীন নারীদের সচেতন করাসহ সেচ্ছায় রক্তদানে উৎসাহিত করা হয়। এ সংগঠনের আওতায় ২০১৫ সালে জলঢাকা উপজেলা উত্তর দিকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দুরে মাইজালীপাড়া গ্রামে একট ফ্রি পাঠদান কেন্দ্র চালু করে।এখানে অসহায় পরিবারের শিশুরা পড়তে আসে।উপজেলার প্রতি ইউনিয়নে ১১টি ফ্রি পাঠদান কেন্দ্র চালু আছে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রায় ১ শত করে মোট ১ হাজার ছাত্র ছাত্রী আছে। প্রত্যেক সপ্তাহের ক্লাস শেষে শিশুদের মেধা মূল্যায়নের জন্য কুইজ,রচনা,চিত্রাঙ্কন,বক্তৃতা,সাধারণ জ্ঞান,সুন্দর হাতের লেখা ও বঙ্গবন্ধু জীবনী নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কারও দেয়া হয়।সংগঠনটি টিনসেটে ঘেরা। এখানে ১টি শ্রেণী কক্ষ,সততা স্টোর,মানবতার দেয়াল আছে। ফ্রি পাঠদান কেন্দ্রটি দেখতে প্রতি সপ্তাহে বিভিন্ন পেশার মান্যগণ্য ব্যক্তিরাও অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকেন । এ সপ্তাহে অতিথিরা পাঠদান দেখে বলেন,আলোর কণা জলঢাকার গর্ব।এখানে পিছিয়ে পড়া হাজারো শিশু পড়তে পারে। ফুরাদ হোসেন যেভাবে নিরলস পরিশ্রম করে অসহায় শিশুদের পাঠদান দিয়ে যাচ্ছে আসলেই প্রশংসিত। আমাদের সকলের উচিৎ এমন মহৎ কাজে সাহায্যের হাত প্রসারিত করা। আলোর কণা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ফুরাদ হোসেন বলেন,আমি স্বপ্ন বুনি আলোর কণাকে বিশ্বদরবারে পৌঁছে দিবো। বাস্তবে রুপ দিতে অনেক পথ পারি দিতে হবে এটাও আমি জানি। সমাজের সব শ্রেণীর মানুষ আমাকে সাহায্য সহযোগিতা করলে ইনশাআল্লাহ সফল হবো।আসুন সবাই মিলে ঝরেপড়া অসহায় শিশুদের স্কুলমুখী করি,সুস্থ সুন্দর সমাজ গড়ি। এ জন্য সকলের আন্তরিকতা ও সাহায্য সহযোগিতা কামনা করছি।আলোর কণা শিক্ষা ক্ষেত্রে উৎসাহ দেয় মাত্র।